অভিনয় ক্যারিয়ারে নানা ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন নন্দিত অভিনেতা মোশাররফ করিম। এবার তিনি অভিনয় করেছেন ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির চরিত্রে। নাটকের নাম ‘বউ সোহাগী’। এতে বিয়ে নিয়ে বেশ মজার কাণ্ড ঘটাতে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে। বিয়ের আসরে কবুল বলে অজ্ঞান হয়ে যাবার মতো মজার দৃশ্যও থাকবে নাটকে।

সুজিত বিশ্বাসের রচনা ও মারুফ মিঠুর পরিচালনায় নাটকে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তানহা তাসনিয়া। তাদের সঙ্গে আছেন আরও অনেকে। 


গ্রামের ছেলে হেকমত সরদার। ছোট সময় থেকেই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তার ফোবিয়া রয়েছে। এই যেমন পিঁড়ি ও নারীর প্রতি। আর এজন্য বিয়ে করতে ভয় পায় সে। কিন্তু তার মায়ের খুব ইচ্ছে ছেলের বউ দেখা। ছেলে হেকমতের এই ধরনের ফোবিয়া থাকায় মায়ের সেই ইচ্ছে পূরণ হচ্ছিল না। একদিন বাড়িতে হেকমতের ছোটকালের বন্ধু আরিফকে ডেকে আনে তার মা। এ সময় ঘর থেকে বের হয়ে বাজারে নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিল হেকমত।

হঠাৎ বাড়িতে বন্ধুকে দেখতে পেয়ে অবাক হয়ে যায় সে। এ সময় তার মা ও বন্ধু আরিফুল বলে, পাশের গ্রামে যাবে তাকে নিয়ে, এ কথা শোনার সাথে সাথেই কান্না শুরু করে হেকমত। মা ধমক দিয়ে থামায় তাকে। কিন্তু সে কোনোভাবেই যেতে রাজি না, তাই তো সে ঘরের খুটি ধরে রাখে যেন তাকে কেউ নিয়ে যেতে না পারে। একপর্যায়ে বন্ধু আরিফুল ও তার মাসহ কয়েকজন হেকমতকে দড়ি দিয়ে বেঁধে অটোতে করে নিয়ে যায় বিয়ের করাতে। কনের বাড়িতে গিয়ে ঘটে নতুন বিপত্তি। কবুল বলার পরই অজ্ঞান হয়ে যায় হেকমত। তবুও বিয়ে বন্ধ না রেখে বাসর ঘরে আনা হয় বরসহ কনেকে।

পরে জ্ঞান ফিরলে হেকমত নিজেকে খুঁজে যায় এক সুন্দরী মেয়ের পাশে বসে আছে বধু সেজে। তার নাম আরিফা। এদিকে নতুন বউকে একনজর দেখার পর হেকমত চোখই সরাতে পারছিল না। গ্রামের এক অবিবাহিত যুবকের জীবন ও বিয়ে করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে নাটকের গল্প।

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা ২০ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচার হবে নাটকটি। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ