বিয়েতে কবুল বলেই অজ্ঞান মোশাররফ করিম
Published: 12th, February 2025 GMT
অভিনয় ক্যারিয়ারে নানা ধরণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এবার তিনি অভিনয় করেছেন ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির চরিত্রে। নাটকের নাম ‘বউ সোহাগী’। এতে বিয়ে নিয়ে বেশ মজার কাণ্ড ঘটাতে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে। বিয়ের আসরে কবুল বলে অজ্ঞান হয়ে যাবার মতো মজার দৃশ্যও থাকবে নাটকে।
সুজিত বিশ্বাসের রচনা ও মারুফ মিঠুর পরিচালনায় নাটকে মোশাররফ করিমের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তানহা তাসনিয়া। তাদের সঙ্গে আছেন আরও অনেকে।
গ্রামের ছেলে হেকমত সরদার। ছোট সময় থেকেই বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তার ফোবিয়া রয়েছে। এই যেমন পিঁড়ি ও নারীর প্রতি। আর এজন্য বিয়ে করতে ভয় পায় সে। কিন্তু তার মায়ের খুব ইচ্ছে ছেলের বউ দেখা। ছেলে হেকমতের এই ধরনের ফোবিয়া থাকায় মায়ের সেই ইচ্ছে পূরণ হচ্ছিল না। একদিন বাড়িতে হেকমতের ছোটকালের বন্ধু আরিফকে ডেকে আনে তার মা। এ সময় ঘর থেকে বের হয়ে বাজারে নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিল হেকমত।
হঠাৎ বাড়িতে বন্ধুকে দেখতে পেয়ে অবাক হয়ে যায় সে। এ সময় তার মা ও বন্ধু আরিফুল বলে, পাশের গ্রামে যাবে তাকে নিয়ে, এ কথা শোনার সাথে সাথেই কান্না শুরু করে হেকমত। মা ধমক দিয়ে থামায় তাকে। কিন্তু সে কোনোভাবেই যেতে রাজি না, তাই তো সে ঘরের খুটি ধরে রাখে যেন তাকে কেউ নিয়ে যেতে না পারে। একপর্যায়ে বন্ধু আরিফুল ও তার মাসহ কয়েকজন হেকমতকে দড়ি দিয়ে বেঁধে অটোতে করে নিয়ে যায় বিয়ের করাতে। কনের বাড়িতে গিয়ে ঘটে নতুন বিপত্তি। কবুল বলার পরই অজ্ঞান হয়ে যায় হেকমত। তবুও বিয়ে বন্ধ না রেখে বাসর ঘরে আনা হয় বরসহ কনেকে।
পরে জ্ঞান ফিরলে হেকমত নিজেকে খুঁজে যায় এক সুন্দরী মেয়ের পাশে বসে আছে বধু সেজে। তার নাম আরিফা। এদিকে নতুন বউকে একনজর দেখার পর হেকমত চোখই সরাতে পারছিল না। গ্রামের এক অবিবাহিত যুবকের জীবন ও বিয়ে করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে নাটকের গল্প।
নাটকাটি আজ রাত ৯টা ২০ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচার হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে ইরানের তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা
ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তেল ও গ্যাস স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে কয়েক দশক ধরে বৈরিতা চলছে। তবে এবারই প্রথম ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পর দুই পক্ষ সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি হামলা তীব্র হতে থাকায় বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের বাজারে অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত শনিবার গভীর রাতে ইরানের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি ডিপোতে হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী তেহরানে একটি তেল শোধনাগারেও আগুন ধরে যায়। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেছেন।
বিশ্বের অন্যতম বড় গ্যাসক্ষেত্র ‘সাউথ পার্স’-এ ইসরায়েলের হামলায় আগুন লাগার পর ইরান আংশিকভাবে এ ক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ইরান কাতারের সঙ্গে ভাগাভাগি করে এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে থাকে।
ইসরায়েল নজিরবিহীনভাবে ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানোয় মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম আরও বাড়তে পারে। দুই দেশই একে অন্যের ভূখণ্ডে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি দিচ্ছে।
ইরান বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস ও তৃতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল মজুতের অধিকারী– এই তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি তথ্য প্রশাসনের (ইআইএ) দেওয়া। ফলে দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তু ছিল। তবে এতদিন ইসরায়েল ইরানের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে হামলা এড়িয়ে চলছিল, বিশেষ করে তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের চাপ ছিল। কিন্তু এবার তা বদলে গেছে।
গত শনিবার রাতে তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে শাররান জ্বালানি ডিপো ও শহরের দক্ষিণে শার-রে অঞ্চলে অবস্থিত দেশের অন্যতম বৃহৎ তেল শোধনাগারে বড় ধরনের আগুন লাগে। এ ছাড়া ইরানের দক্ষিণ বুশেহর প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র সাউথ পার্স লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল।
হামলায় সাউথ পার্সের ‘ফেইজ ১৪’ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে আগুন লাগে। ফলে এখানে দৈনিক ১ দশমিক ২ কোটি ঘনমিটার গ্যাস উৎপাদনকারী একটি অফশোর প্ল্যাটফর্ম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইসরায়েলের হামলার প্রথম দিনে তেল ও গ্যাস স্থাপনা বাদ পড়লেও বাজারে তেলের দাম প্রায় ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। সোমবার বিশ্ববাজারে তেলের দামে আরও বড় উল্লম্ফন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যালান এয়ার বলেন, ইসরায়েল চায়, ইরানের ওপর হামলায় যুক্তরাষ্ট্রও জড়িয়ে পড়ুক। তাদের লক্ষ্য, ইরানের এই সরকারের পতন ঘটানো। ইরানের সামরিক প্রতিক্রিয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ, দেশের অভ্যন্তরে সম্মান রক্ষার বিষয় আছে। কিন্তু ইসরায়েলে বড় ধরনের ক্ষতি করার মতো ক্ষমতা ইরানের নেই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের বন্ধুর সংখ্যা কম। আর থাকলেও ইসরায়েল পরিষ্কারভাবে দেখিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক মতামতকে পাত্তা দেয় না– বলেন তিনি।