ফরিদপুরে ট্রাক ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত, আহত ৪
Published: 12th, February 2025 GMT
ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার জলিল খাঁর ইটের ভাটার সামনে গোয়ালন্দ-তাড়াইল সড়কে এ দুর্ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
নিহত দুজন হলেন সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের খলিল মন্ডলেরহাট এলাকার আলী পাট্টাদারের ছেলে হাসেম পাট্টাদার (৪০) এবং একই এলাকার লাল মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়া (২৮)। হাসেম ওই অটোরিকশার চালক ছিলেন। লাবলু শেখ চর মাধবদিয়া ইউনাইটেড উচ্চবিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় অটোরিকশার আহত আরও চার যাত্রীকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষের পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকটি সড়কের পাশে গিয়ে পড়ে। আজ বুধবার ফরিদপুর সদরের আদমপুর এলাকায়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে মসজিদের গেইটে বিদ্যুতের খুঁটি, মুসল্লীদের দূর্ভোগ
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পশ্চিম আদমপুরস্থ বায়তুল নুর জামে মসজিদের গেটে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতাধীন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের একটি খুটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
মসজিদের প্রবেশদ্বারে বিদ্যুতের ওই খুঁটিতে হাটমিটার থাকায় এলোমেলোভাবে থাকা তারে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
ঝুকিপূর্ণ খুটিটি সরাতে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে মৌখিক ও লিখিতভাবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অবগত করার পরেও মিলছেনা সমাধান। এরফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে মুসল্লীরা। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নে আদমপুর চৌরাস্তা দিয়ে উত্তরদিকে এই জামে মসজিদটি। এখানে প্রায় ৬শ পরিবার বসবাস করে। প্রতি জজুম্মার ননামাজের সময় এই মসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা বেশি থাকে । এই গ্রামটিতে নতুন নতুন বাড়িঘর হওয়াতে মসজিদের মুসল্লী দিন দিন বেড়েই চলছে।
এছাড়াও মসজিদের ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। মসজিদটিতে মাত্র একটি প্রবেশদ্বার। আর সেই প্রবেশদ্বারের মাঝ বরাবর বিদ্যুতের একটি খুটি রয়েছে। সেই খুঁটিতে হাটমিটার লাগানো আছে। মিটারটির ওয়্যারিং ঠিকমতো না থাকায় বিদ্যুৎপৃষ্টের ঝুঁকি রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, বন্দর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নিকট ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের খুটি সরাতে কয়েকদফায় মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোন গুরুত্বই দেয়নি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। একটি ধর্মীয় স্থানে পবিসের উদাসীন কার্যক্রম নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।