যে মামলায় কারাগারে চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার
Published: 12th, February 2025 GMT
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা থেকে তাঁকে নগরের চান্দগাঁও থানার বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেলে এ মামলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে হাজির করা হয় সাবেক এই পুলিশ কমিশনারকে। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের বর্তমান কমিশনার হাসিব আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নগরের চান্দগাঁও থানায় গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ মামলায় সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে চান্দগাঁও থানার হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে তিন দিন কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন আদালত। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।
গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর নগরের চান্দগাঁও থানায় নিহত হৃদয় তরুয়ার বন্ধু আজিজুল হক বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ২০৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছর ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া অংশ নেন। ওই দিন চান্দগাঁও এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে গুলিতে আহত হন হৃদয়। গত ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আসামিদের কয়েকজনের নির্দেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিদের অনেকে হামলায় যোগ দেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম নগরে শিক্ষার্থীসহ ১০ জন নিহত হন। আহত হন পাঁচ শর বেশি মানুষ। এ ঘটনায় থানা ও আদালতে ৮২টির বেশি মামলা হয়। এসব মামলায় একাধিক সাবেক সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, ফজলে করিম, আবু রেজা নদভী প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।