আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
Published: 12th, February 2025 GMT
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে অংশ নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা থেকে আমিরাতের উদ্দেশে রওনা হন প্রধান উপদেষ্টা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, অধ্যাপক ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।
গত রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার দুবাই সফরের বিষয়ে জানান, ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনে অংশ নিতে আমিরাতের উপ-রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক আমির শাইখ মুহাম্মাদ বিন রাশিদ আল মাখতুম গত ১৩ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টাকে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠান। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী নিয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপনের সুযোগ পাবেন।
সংক্ষিপ্ত দুবাই সফরে অধ্যাপক ইউনূস সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে। সূত্র-বাসস
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম র ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’