সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ৪০ ও ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টুর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক জাকারিয়া তাহের, নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মুখলেসুর রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ আব্দুস সাত্তার সরকার, স্বতন্ত্র পরিচালক মোঃ জুলকার নায়েন, স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক ড.

মেলিতা মেহজাবিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শেখ আকতার উদ্দীন আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দসহ ব্যাংকের সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ২০২২ ও ২০২৩ সমাপনী বছরের আর্থিক বিবরণী, নিরীক্ষক নিয়োগসহ নির্ধারিত আলোচ্য সূচিসমূহ অনুমোদিত হয়।

এসময় ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারগণ ভার্চুয়ালের পরিবর্তে ফিজিক্যালি সভা আয়োজন করায় পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

শেয়ারহোল্ডারগণ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, অচিরেই ন্যাশনাল ব্যাংক ঘুরে দাঁড়াবে ও পরবর্তী বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করতে সক্ষম হবে।

এছাড়া সভায় কোম্পানি আইন ১৯৯৪-এর ২০২০ সালের সংশোধনী অনুযায়ী ব্যাংকের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড-এর পরিবর্তে ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসি নামকরণ করা হবে।

সংশ্লিষ্ট সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা কার্যকর করা হবে।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ