ভারতের বেঙ্গালুরুর কাদুবীসানাহাল্লির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ওড়িশার জনপ্রিয় র‌্যাপার অভিনব সিংয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৩২ বছরের অভিনবর মৃত্যুতে বেঙ্গালুরুর মারাঠাহাল্লি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, পারিবারিক অশান্তির জেরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন র‍্যাপার অভিনব। ময়নাতদন্তের পর অভিনবের মরদেহ ওড়িশার বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

জানা যায়, বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন র‍্যাপার ও ইঞ্জিনিয়ার অভিনব সিং। তার পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধের কারণে আত্মহত্যা করেছেন অভিনব। তাকে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের।

আরো পড়ুন:

ভালোবাসা দিবসে বর্ষা-মুন্নার গান

প্রশংসা কুড়াচ্ছে সাব্বির-কোনালের গান

ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় ওড়িশার লালবাগ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিনবর বাবা বিজয় নন্দ সিং। তার অভিযোগে ৮-১০ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। তাদের দাবি, অভিনব স্ত্রী এবং অন্যদের মানসিক নির্যাতন সহ্য করেছেন। এসব বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

র‍্যাপের দুনিয়ায় ‘জাগারনট’ নামে পরিচিত অভিনব। ওড়িশার র‍্যাপার হিসেবে জনপ্রিতা লাভ করেন তিনি। ‘কটক অ্যান্থেম’ দিয়ে এই জনপ্রিয়তা লাভ করেন। একই গান গীতিকার হিসেবেও তাকে জনপ্রিয়তা এনে দেয়। তার র‌্যাপ গানে স্থানীয় সাংস্কৃতিক উপাদান থাকায় আলাদা গ্রহনযোগ্যতা তৈরি করে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন জনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ