বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ভারতের টপ অর্ডারের ফর্ম নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয় ভারতের। রোহিত শর্মা রান পাননি। বিরাট কোহলি ফর্মে ছিলেন না। শুভমন গিলকে তো বাদ দেওয়ার পরামর্শই দেওয়া হয়েছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এদের সকলেই রানে ফিরেছেন। ভারতও ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে সিরিজ। বুধবার সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১৪২ রানে হারিয়েছে মেন ইন ব্লুজরা।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে ভারত ইনিংসের শেষ বলে ৩৫৬ রান তুলে অলআউট হয়। সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত ধারাবাহিক শুভমন গিল খেলেন ১০২ বলে ১১২ রানের ইনিংস। ১৪টি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। গিল প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে তিনে নেমে ৮৭ রান করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ওপেনিংয়ে ফিরে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন।
রোহিত শর্মা প্রথম ও শেষ ম্যাচে রান পাননি। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেলেছিলেন ৯০ বলে ১১৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ১২টি চারের সঙ্গে সাতটি ছক্কা মারেন তিনি। দুশ্চিন্তা ছিল কেবল কোহলির ফর্ম নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজে ভুলে যাওয়ার মতো করে আউট হয়েছেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে কোহলি বিশ্রামে ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ রান করে ফিরে যান। ওই কোহলি শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৫৫ বলে ৫২ রান করেছেন।
এছাড়া ভারতের বড় রানের পথে শ্রেয়াস আইয়ার ৬৪ বলে ৭৮ রান করেন। ২৯ বলে ৪০ রান করেন কেএল রাহুল। জবাবে ইংল্যান্ড ৩৪.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল র ন কর প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।
শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আরো পড়ুন:
নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”
তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”
বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”
শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”
কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।
অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।
ঢাকা/এসবি