গাজীপুরে কাশেমের জানাজায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি
Published: 13th, February 2025 GMT
গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত আবুল কাশেমের (২০) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের রাজবাড়ি মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মী, সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও আওয়ামী লীগকে দ্রুত নিষিদ্ধের দাবি তোলেন।
নিহত আবুল কাশেম গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ কলমেশ্বর এলাকার হাজি জামালের ছেলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আহত হয়ে আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়েছে। কাশেমের প্রতিটি রক্তের ফোঁটার বদলা নেবেন ঘোষণা দিয়ে তাঁরা বলেন, যেভাবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার কারণে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুনগাজীপুরে সাবেক মন্ত্রী মোজাম্মেলের বাড়িতে হামলায় আহত একজনের মৃত্যু২০ ঘণ্টা আগেজানাজায় বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম খান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা, সদর থানার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনগাজীপুরে হামলায় আহত তরুণের মৃত্যুর প্রতিবাদে কফিনমিছিল করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন১৮ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত আবুল কাশেম গতকাল বুধবার মারা যান। হামলার ঘটনায় একটি মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গাজীপুর শাখার আহ্বায়ক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক মন ত র আওয় ম য় আহত
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত ও নিপীড়ন বন্ধের দাবি সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের
গণতান্ত্রিক শ্রম আইন, শ্রমিকের সামাজিক সুরক্ষা, ন্যায্য মজুরি, অবাধ ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার নিশ্চিত ও শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল করেছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। একই সঙ্গে তারা বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেপ্তারকৃত শ্রমিকনেতাদের মুক্তির দাবিও জানায়।
মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জুলফিকার আলী, আইনবিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র সাহা, নির্বাহী সদস্য আফজাল হোসেন, নির্বাহী সদস্য ও বোম্বে সুইটস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রতন মিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে নেতারা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন করার চেষ্টার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দিয়ে গার্মেন্টস উইংয়ের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, রবিনটেক্স শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সীমা আক্তারসহ ৭ জনকে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এবং রিকশা শ্রমিকদের রুটি–রুজির আন্দোলনে সংহতি জানানোর অপরাধে চট্টগ্রামে রিকশা সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি আল কাদেরি জয়, মিরাজ উদ্দিন ও রোকন উদ্দিনকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। অথচ সরকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তারা শ্রমক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শ্রমমান বাস্তবায়ন করবে।
এ সময় নেতারা শ্রম সম্পর্ক উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হচ্ছে কি না, তা জানতে চান। তাঁরা বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া বন্ধ না হলে, শ্রমিকের ওপর নিপীড়ন বন্ধ না হলে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র পরিচালনা বা বৈষম্য নিরসনের প্রতিশ্রুতি শ্রমজীবী মানুষের কাছে প্রতারণা হিসেবে পরিগণিত হবে।
মে দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে নেতারা আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও দেশের শ্রমজীবী মানুষের ৮৫ শতাংশ শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে। শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শ্রম খাতের দুর্দশার যে ভয়ানক চিত্র ফুটে উঠেছে, তা প্রমাণ করে স্বাধীনতা–পরবতী প্রতিটি সরকার শ্রম শোষণকে তীব্র থেকে তীব্রতর করার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
এ সময় গ্রেপ্তার সব শ্রমিকের মুক্তি, শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ এবং মে দিবসের প্রকৃত চেতনায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা।