রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ফোকলোর বিভাগের দুই দিনব্যাপী রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসবে মেতে উঠেছেন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফোকলোর সেমিনারের আয়োজন করেছে বিভাগটি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

সালেহ্ হাসান নকীব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দিন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দীন খান, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ও বিভাগের শিক্ষক ড. আমীরুল ইসলাম কনকসহ ফোকলোর বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব

পরে ফোকলোর বিভাগের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। র‍্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই জায়গায় এসে শেষ হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “ফোকলোরের বিষয়বস্তু আমাদের জীবনের সকল জায়গায় জড়িয়ে আছে। যা আমরা অনেক সময় উপলব্ধি করতে পারিনা। প্রত্যেকটা পর্যায়ে বা অধ্যায়ে আমাদের ফোকলোরের প্রয়োজন রয়েছে। একজন মানুষের জীবনধারাকে তুলে ধরে ফোকলোর। টাকা কিন্তু একটি কাগজ মাত্র, কিন্তু সেই কাগজটির বিনিময়ে আমরা পণ্য পাচ্ছি। এই কাগজের পিছনেও একটি গল্প লুকিয়ে আছে যা নিয়ে কাজ করে ফোকলোর। এ বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে অনেক কিছু করা যায় এবং অনেকেই ভালো জায়গায়ও আছেন।”

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফোকলোর বিভাগ ২৫ বছর পদার্পণ করায় রজতজয়ন্তী উৎসব পালন করছে। এতে প্রায় সাড়ে সাত শতাধিক সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। নাচ-গান ও বর্ণাঢ্য র‍্যালির মাধ্যমে বাঙালির সংস্কৃতিকে ধারণ করার চেষ্টা করছে শিক্ষার্থীরা। বাঙালির শিকড় সন্ধানে ১৯৯৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বিভাগটি আজ ২৫ বছরে পদার্পণ করেছে। আমাদের যে আত্মপরিচয় ও বাঙালির সঠিক পরিচয়ের ইতিহাস একমাত্র ফোকলোরের মাধ্যমেই অনুসন্ধান করা সম্ভব।”

ঢাকা/ফাহিম/টিপু

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ কল র ব ভ গ উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’

‘উৎসব’ দেখে মন ভরে গেছে। বাংলাদেশের সিনেমা দেখতে যাওয়া, বয়স হওয়ার পর, একটা বিড়ম্বনা। একটা কারণ, সিনেমা হলের বের হওয়ার দরজার মুখে ক্যামেরা দাঁড়িয়ে থাকে। বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসা করে, ‘কেমন দেখলেন।’ কী বলবেন? সিনেমা যাঁরা বানান, তাঁরা আমাদের ভাইবেরাদার, বোন-দুলাভাই, মামা-চাচা, ভাইপো-ভাইঝি, না হলে আমার আরেকটা নাটকের প্রডুসার, একটা চ্যানেলের মালিক, সত্য কথা বলে এই বয়সে বন্ধুহারা, ভাইহারা হতে কে চায়।

বেশির ভাগ সিনেমা শেষ পর্যন্ত দেখলে একটা উপকার হয়, নিজের ধৈর্যশক্তি বাড়ে, সহ্যক্ষমতা পোক্ত হয়! সম্পূর্ণ ভালো লেগেছে, এমন ছবি আমার তালিকায় খুব কম। একটা দুটোর নাম করি, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘মুক্তির গান’। ‘নিরন্তর’ ভালো লেগেছিল, ‘শঙ্খনাদ’ পছন্দ করেছিলাম, ‘টেলিভিশন’ কিংবা ‘স্বপ্নজাল’ দেখেও প্রশংসা করেছিলাম...এই রকম হাতে গোনা কয়েকটা ছবি। হাতে গোনা ব্যাপারটা হলো, আপনি হাতের আঙুল দিয়ে গুনতে পারবেন, অঙ্গুলিমেয়, আঙুলের দাগ ধরে ধরে গুনবেন, বিশটার বেশি হবে না। আমার মনে হয়, দুই হাতের দশটা আঙুলের চেয়ে বেশি বাংলাদেশি সিনেমার নাম আমি বলতে পারব না, যা আমার বেশ ভালো লেগেছে।

তানিম নূর পরিচালিত এবারের ঈদের ছবি ‘উৎসব’ দেখলাম ১৩ জুন ২০২৫। অপরাহ্ণ শো। দুদিন আগেই টিকিট কাটা ছিল। আমরা আটজনের একটা দল, বন্ধুবান্ধব, ছেলেমেয়েসমেত স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়ে হাজির। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলো। এত বড় লাইন, সবার হাতে টিকিট, সবাই একটা সিনেমা দেখতে দাঁড়িয়ে আছেন হাসিমুখে, কী সুন্দর একটা দৃশ্য।

উৎসব সিনেমার পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফল উৎসব 
  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’