‘মূলত একজন ভাসমান নারীর সংগ্রামের গল্প হলেও ছবিতে খুব মিষ্টি একটি প্রেমের অধ্যায়ও আছে,’ প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সরকারি অনুদানে অরুন চৌধুরী পরিচালিত `জলে জ্বলে তারা' সিনেমায় তাঁকে সার্কাসকন্যা চরিত্রে দেখা যাবে। অরুন চৌধুরী জানান, ছয়টি সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।

সার্কাসকন্যা হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে অরুন চৌধুরী বলেন, ‘আমি কর্মসূত্রে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির, গোত্রের মানুষের সঙ্গে মিশেছি, কাজ করেছি। আমি চাই আমার মতো করে চরিত্রটি হয়ে উঠতে, যেন তাতে অন্য কোনো চরিত্রের আদল ফুটে না ওঠে। গত পাঁচ বছরের সব কাজে তাই দর্শক আমাকে নতুনভাবেই পেয়েছে। এবারও পাবে।’

মিথিলার বিপরীতে হোসেন মাঝি চরিত্রে অভিনয় করেছেন এফ এস নাঈম। প্রথমবার কোনো চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধেছেন তাঁরা। নাঈম জানান, ২০০৭ সাল থেকেই তাঁরা খুব কাছের বন্ধু। তখন তাঁরা গান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সেই থেকেই বন্ধুত্ব। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুজনের রসায়নটা ছিল দারুণ। দর্শককে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছি। আমার কোনো চরিত্রের সঙ্গে সিনেমার মাঝি চরিত্রের মিল খুঁজে পাবেন না। এ যাবৎ যত কাজ করেছি, তার মধ্যে এবারের আমি শতভাগ আলাদা।’

২০২০-২১ অর্থবছরে সিনেমাটি অনুদান পায়। করোনার মধ্যেই ২০২১ সালের অক্টোবরে মানিকগঞ্জে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। মাত্র তিন সপ্তাহেই সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়। পরে একাধিকবার তারিখ ঠিক করেও সিনেমাটির মুক্তি পিছিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘এটা সত্যি যে শুটিংয়ের অনেক দিন পরে ছবি মুক্তি দিলে দর্শকের কাছে আবেদন কমে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তবে এই ছবিতে তারা (মিথিলা) আর হোসেন (নাঈম) মাঝির ভালোবাসা দর্শকের আবেদনকে ফিরিয়ে আনবে।’

দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পরে বড় পর্দায় আসছেন নাঈম। সর্বশেষ জাগো সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। নাঈম বলেন, ‘প্রথমবার দর্শক আমাকে বড় পর্দায় প্রধান চরিত্রে দেখবেন। আমাদের গল্পটি মানবিক সম্পর্কের। এখানে সব কটি গান রোমান্টিক। এগুলো দর্শকদের ভিন্ন একটি অনুভূতি দেবে।’

`জলে জ্বলে তারা' সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আজাদ আবুল কালাম, নূর ইমরান মিঠু।

‘ময়না’ সিনেমার পোস্টার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া