আজ মুক্তি পাচ্ছে নারীপ্রধান দুই সিনেমা
Published: 14th, February 2025 GMT
‘মূলত একজন ভাসমান নারীর সংগ্রামের গল্প হলেও ছবিতে খুব মিষ্টি একটি প্রেমের অধ্যায়ও আছে,’ প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। সরকারি অনুদানে অরুন চৌধুরী পরিচালিত `জলে জ্বলে তারা' সিনেমায় তাঁকে সার্কাসকন্যা চরিত্রে দেখা যাবে। অরুন চৌধুরী জানান, ছয়টি সিনেমা হলে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।
সার্কাসকন্যা হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে অরুন চৌধুরী বলেন, ‘আমি কর্মসূত্রে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির, গোত্রের মানুষের সঙ্গে মিশেছি, কাজ করেছি। আমি চাই আমার মতো করে চরিত্রটি হয়ে উঠতে, যেন তাতে অন্য কোনো চরিত্রের আদল ফুটে না ওঠে। গত পাঁচ বছরের সব কাজে তাই দর্শক আমাকে নতুনভাবেই পেয়েছে। এবারও পাবে।’
মিথিলার বিপরীতে হোসেন মাঝি চরিত্রে অভিনয় করেছেন এফ এস নাঈম। প্রথমবার কোনো চলচ্চিত্রে জুটি বেঁধেছেন তাঁরা। নাঈম জানান, ২০০৭ সাল থেকেই তাঁরা খুব কাছের বন্ধু। তখন তাঁরা গান নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সেই থেকেই বন্ধুত্ব। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুজনের রসায়নটা ছিল দারুণ। দর্শককে নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করেছি। আমার কোনো চরিত্রের সঙ্গে সিনেমার মাঝি চরিত্রের মিল খুঁজে পাবেন না। এ যাবৎ যত কাজ করেছি, তার মধ্যে এবারের আমি শতভাগ আলাদা।’
২০২০-২১ অর্থবছরে সিনেমাটি অনুদান পায়। করোনার মধ্যেই ২০২১ সালের অক্টোবরে মানিকগঞ্জে সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। মাত্র তিন সপ্তাহেই সিনেমাটির শুটিং শেষ হয়। পরে একাধিকবার তারিখ ঠিক করেও সিনেমাটির মুক্তি পিছিয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘এটা সত্যি যে শুটিংয়ের অনেক দিন পরে ছবি মুক্তি দিলে দর্শকের কাছে আবেদন কমে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। তবে এই ছবিতে তারা (মিথিলা) আর হোসেন (নাঈম) মাঝির ভালোবাসা দর্শকের আবেদনকে ফিরিয়ে আনবে।’
দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পরে বড় পর্দায় আসছেন নাঈম। সর্বশেষ জাগো সিনেমায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল। নাঈম বলেন, ‘প্রথমবার দর্শক আমাকে বড় পর্দায় প্রধান চরিত্রে দেখবেন। আমাদের গল্পটি মানবিক সম্পর্কের। এখানে সব কটি গান রোমান্টিক। এগুলো দর্শকদের ভিন্ন একটি অনুভূতি দেবে।’
`জলে জ্বলে তারা' সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন ফজলুর রহমান বাবু, মনিরা মিঠু, আজাদ আবুল কালাম, নূর ইমরান মিঠু।
‘ময়না’ সিনেমার পোস্টার.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কে হবে নারী বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন
ভারতের জেমাইমা রদ্রিগেজের চোখে জল, তাঁকে ঘিরে উৎসব করতে তৈরি হয়েছিল বড় একটা জটলাও। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের উল্লাসের ছবিটাও সাড়া ফেলেছিল বেশ। এক দিনের ব্যবধানে দুই দলের সেই উচ্ছ্বাস গিয়ে মিলেছিল একই বিন্দুতে—নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ওঠার আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল তারা।
কিন্তু এতটুকু তো আর শেষ নয়। দুই দলের সামনেই প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। আজ নাবি মুম্বাইয়েই প্রথমবার এমন নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল হচ্ছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কেউই নেই। এই দুই দলের বাইরে শিরোপাজয়ী আরেক দল নিউজিল্যান্ডও বাদ পড়ে গেছে সেমিফাইনালের আগেই। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের যেই শিরোপা জিতুক, নারী বিশ্বকাপ তাই দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
এবারের বিশ্বকাপজুড়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে ফাইনালে ওঠা দুটি দলই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হলেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেমিফাইনালে ভারতকে জেতানোর পর জেমাইমা ও মান্ধানা