সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা তুলবে সরকার
Published: 14th, February 2025 GMT
গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করতে সেতু নির্মাণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) অর্থের জন্য সুকুক বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে তিন হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই সুকুক বন্ডের মেয়াদ হবে সাত বছর। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি কমিটি বৈঠক করে বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কবির আহাম্মদ। এ নিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ‘পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)’ এই সুকুক বন্ডের অর্থ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। সুকুকটির নাম দেওয়া হয়েছে ইস্তিসনা ও ইজারা। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিআইডি) মাধ্যমে প্রকল্পটির আওতায় বাংলাদেশের আট বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় ৮২টি সেতু নির্মাণের কাজ চলমান। এসব সেতুর মোট দৈর্ঘ্য ১৭ হাজার ৬৯৭ মিটার। তার সঙ্গে আছে ৩৮ হাজার ৮০০ মিটার সংযোগ সড়ক এবং ৪ হাজার ২৩০ মিটার নদী শাসন কাজ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজ হয়ে ব্যয় কমে আসবে, যা স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত করবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ক ক বন ড প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’