বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফর শেষ করেছেন। দুবাই শহরে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে (ডব্লিউজিএস) অংশ নিতে সে দেশে গিয়েছিলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ইউএই সফর শেষ করে প্রধান উপদেষ্টা এমিরেটসের ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। দুবাই বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড.

আহমদ বেলহোল আল ফালাসি।

ডব্লিউজিএসে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা সম্মেলনের ফাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষার সম্পর্ক গভীর করার মতো পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।

আলোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আরো বেশি শ্রমিক নিয়োগের আহ্বান জানান।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের কারখানাগুলো স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসার জন্য একটি শিল্প পার্ক স্থাপনে নীতিগতভাবে সম্মত হন।

প্রধান উপদেষ্টা ইউএইর বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানান যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্রুপগুলো বাংলাদেশকে হালাল পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, এজন্য তারা বাংলাদেশের স্বল্প খরচের শ্রমশক্তি ব্যবহার করতে পারে।

ইউএইর বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তিনি আগামীতে বাংলাদেশ সফরে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও তদন্ত প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে চান।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ ইউএই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।

ঢাকা/হাসান/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ