আরব আমিরাত সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা
Published: 14th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফর শেষ করেছেন। দুবাই শহরে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে (ডব্লিউজিএস) অংশ নিতে সে দেশে গিয়েছিলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ইউএই সফর শেষ করে প্রধান উপদেষ্টা এমিরেটসের ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছেন। দুবাই বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড.
ডব্লিউজিএসে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টা সম্মেলনের ফাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশের নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ক্রীড়া ও শিক্ষার সম্পর্ক গভীর করার মতো পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
আলোচনার সময় প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আরো বেশি শ্রমিক নিয়োগের আহ্বান জানান।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের কারখানাগুলো স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি প্রস্তাব দেওয়ার পর তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসার জন্য একটি শিল্প পার্ক স্থাপনে নীতিগতভাবে সম্মত হন।
প্রধান উপদেষ্টা ইউএইর বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানান যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্রুপগুলো বাংলাদেশকে হালাল পণ্য উৎপাদনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে, এজন্য তারা বাংলাদেশের স্বল্প খরচের শ্রমশক্তি ব্যবহার করতে পারে।
ইউএইর বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, তিনি আগামীতে বাংলাদেশ সফরে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য ও তদন্ত প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিতে চান।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ ইউএই সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আরব-মুসলিম নেতাদের ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পর্যালোচনার আহ্বান
কাতারে হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলার পর সোমবার দেশটির রাজধানী দোহায় আরব ও মুসলিম দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা এক জরুরি শীর্ষ সম্মেলনে বসেন। সম্মেলন শেষে তাঁরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান।
আরব লীগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এই যৌথ বৈঠকে প্রায় ৬০টি দেশ অংশ নেয়। গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে দোহায় হামাস নেতাদের বৈঠক চলাকালে বিমান ও ড্রোন হামলা চালায় ইসরায়েল।
হামাস জানিয়েছে, হামলায় তাদের পাঁচ সদস্য ও কাতারের এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির শীর্ষ কোনো নেতা নিহত হননি। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার জরুরি সম্মেলনটির আহ্বান করেছিল কাতার।
সম্মেলন শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান কার্যক্রম রোধে সব ধরনের আইনি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে (বৈঠকে অংশগ্রহণকারী) সব দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।’ এসব কার্যক্রম হতে পারে, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা এবং দেশটির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা।’
কাতারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও বাহরাইনসহ জর্ডান, মিসর এবং মরক্কো এরই মধ্যে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এসব দেশও গতকালের সম্মেলনে অংশ নিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে ইউএই, বাহরাইন এবং মরক্কোর শীর্ষ নেতারা সম্মেলনে অংশ নেননি।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবি (বাঁয়ে) ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জেরুজালেমে, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫