“আমার ভালোবাসা দিবস বলতে, বাবা-মা, বোন, বোন জামাই ও ভাগ্নে। এটা আমার পরিবার, এটাই আমার ভালোবাসা।”— রাইজিংবিডির সঙ্গে আলাপকালে এভাবেই কথাগুলো বলেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’খ্যাত অভিনেতা শামীম হাসান সরকার।

ব্যক্তিগত জীবন জনসম্মুখে আনতে চান না শামীম হাসান। এমনকি, ভক্তদেরও তা জানাতে নারাজ। ‘ফ্যামেলি ক্রাইসিস’খ্যাত তারকা শামীম হাসান পারিবারিকভাবেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার ভাষায়— “প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর খবর দিয়ে আলোচনায় আসতে চাই না।” 

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে শামীম হাসান সরকার বলেন, “প্রেম-ভালোবাসার বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটা আমার পরিবার যেমন চায় না, তেমনি আমিও চাই না। আসলে প্রেম-ভালোবাসার ব্যাপারটা ব্যক্তিগত। সুতরাং এটাকে পাবলিকলি বলতে চাই না। আমি চাই না, এটা আমার ভক্তরাও জানুক। বিয়ে কীভাবে করব— এসব ব্যাপারগুলো এভাবে বললে সব নষ্ট হয়ে যায়।”

আরো পড়ুন:

যারা হজে যাননি, তারা বুঝবেন না অনুভূতিটা কেমন: অহনা

‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’

আলাপের এক পর্যায়ে ‘সম্পর্কের ভিত্তি’ কী জানতে চাইলে শামীম হাসান সরকার বলেন, “সত্যি বলতে আমি জানি না। তবে আমার ৩৬ বছরের জীবনে মনে হয়েছে, সম্পর্কের ভিত্তি সময়ের সঙ্গে ওঠানামা করে। সময়ের সাথে, আমাদের চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তনের সাথে, ম্যাচিউরিটির পরিবর্তনের সাথে বৃদ্ধি পায়। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত একটি সম্পর্ক স্থির নয়। এটা পরিবর্তনশীল। সেটা সবার সঙ্গে সবার। আমার অন্তত এমনটাই মনে হয়।”

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলবেন না, তা পরিষ্কার জানানোর পরও স্কুল-কলেজ জীবনে কারো প্রতি ভালো লাগা ছিল কিনা জানতে চাওয়া হয় শামীম হাসান সরকারের কাছে। জবাবে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ তারকা বলেন, “না, আমার এসব ছিল। কারণ আমি ক্যাডেট কলেজের ছেলে; বয়েস স্কুলে পড়াশোনা করেছি। আমার জীবনে প্রেমটেম ছিল না। আমার প্রেম ছিল মিউজিকের সঙ্গে। ক্লাস সিক্স থেকেই ড্রামার ছিলাম। আমার ভালোবাসা আমার মিউজিক ইনস্ট্রুমেন্ট।”  

বেশ কিছু গানে কণ্ঠ দিয়েও দর্শকদের ভালোবাসা পেয়েছেন শামীম হাসান সরকার। তা ছাড়া মিউজিক তার পুরোনো প্রেম। এরপরও মিউজিক নিয়ে কেন কাজ করছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে শামীম হাসান সরকার বলেন, “নাটকের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে সেভাবে মিউজিক নিয়ে কাজের সুযোগ হয় না। আসলে, নাটকের কাজ নিয়ে অনেক ব্যস্ততা। যার ফলে গান করতে পারছি না, নিজের ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারছি না। একজনকে দিয়ে ১৪টা কাজ হবে না। যেকোনো একটা কাজই করতে হবে। এখন মূল ফোকাস অভিনয়।”

টিভি নাটকে সরব শামীম হাসান সরকার। ইউটিউবেও নিয়মিত মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত নাটক-টেলিফিল্ম। তবে বড় পর্দা নিয়ে কী ভাবছেন এই অভিনেতা? জবাবে শামীম হাসান সরকার বলেন, “না, এমন কোনো পরিকল্পনা আমার নেই। অভিনয় তো অভিনয়ই। ফিল্ম কিংবা নাটক— যে মাধ্যমই হোক না কেন। ওটিটিতে তো আলাদা কিছু করব না, অভিনয়ই করব। আমি তো একই ব্যক্তি, একই সংলাপ বলব। যদিও ফিল্মটা বড় পরিসরে শুটিং হয়। আমি নাটকেই হ্যাপি। ফিল্ম স্টার হওয়ার ইচ্ছা নাই।”    

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক শ ম ম হ স ন সরক র ব আম র ভ র পর ব

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমল ৭৫ পয়সা

রাজশাহীতে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার আলুচাষি, ব্যবসায়ী ও হিমাগারমালিকদের উপস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত হয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে প্রতি কেজি আলু রাখার জন্য ভাড়া দিতে হবে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে শ্রমিকের খরচ ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া কমেছে ৭৫ পয়সা।

এর আগে গত মার্চে সরকার প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এর পর থেকে এ নিয়ে রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা বাড়তি ভাড়ায় আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা তাঁরা রাজপথে আন্দোলনও করেছেন। অন্যদিকে হিমাগারমালিকদের দাবি ছিল, প্রতি কেজি আলুর ভাড়া ৮ টাকা করা হোক।

রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজশাহীতে হিমাগার থেকে বাড়তি ভাড়া না দিলে আলু ছাড়া হবে না। এর প্রতিবাদে ঈদের পর নতুন করে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের দাবি, আলু রাখার খরচ আগের বছরের মতো চার টাকা করতে হবে। এ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা। হিমাগার মালিকপক্ষ এ নিয়ে আলোচনায় বসার তাগিদ দিয়ে আসছিল।

এরই মধ্যে আলুচাষিনেতারা ১৪ জুন সেনাবাহিনীর কাছে এ নিয়ে একটি অভিযোগ দেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আজ দুপুরে সভা ডাকা হয়। সভায় সব পক্ষের সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে এ বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি আলুর হিমাগারভাড়া ৬ টাকা ৭৫ পয়সার বদলে ৫ টাকা ৫০ পয়সা ও শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা রাখা হবে। আর পেইড বুকিংয়ের ক্ষেত্রে শুধু শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে আলু রাখা চাষি ও ব্যবসায়ীদের। পরে বিকেলে ক্যান্টনমেন্টে হওয়া এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনিকভাবে পাস করার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসকের দপ্তরে সভা হয়।

সভায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি, হিমাগার মালিক সমিতি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি, পবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচার করা হবে।

এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এবার আলুর দাম কম। আবার এ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘাতের আশঙ্কা ছিল। এ নিয়ে একটি অভিযোগ পান তাঁরা। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে সভা হয়। সভায় সবার সম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত বিকেলে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আরেকটি সভার মাধ্যমে পাস হয়েছে।

রাজশাহীর আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মিঠু আহমেদ বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। কয়েক দিন ধরে তাঁরা হিমাগার থেকে আলু নিতে পারছিলেন না। হিমাগারগুলোয় বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছিল। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকেও অবহিত করেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত একটি ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে।

রহমান সিডস স্টোরেজের ব্যবস্থাপক আবদুল হালিম বলেন, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি আলু রাখতে খরচ পড়বে ৫ টাকা ৫০ পয়সা আর শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা। এ ছাড়া যাঁরা আগে থেকেই টাকা দিয়ে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে আলুর কেজিপ্রতি শ্রমিক খরচ ৫০ পয়সা দিতে হবে।

রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত সব হিমাগারমালিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানানো হবে।

আরও পড়ুনরাজশাহীতে হিমাগারে ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ১৫ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ