দিনাজপুরের হিলিতে মুরগির খামারে বিষ দিয়ে ১ হাজার দুইশ পোল্ট্রি মুরগি নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খামার পরিদর্শন শেষে বিষাক্ত কোনো কিছু প্রয়োগের কারণে মুরগিগুলো মারা গেছে বলে জানিয়েছেন।  

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে হিলির দক্ষিণ বাসুদেবপুর মহিলা কলেজ পাড়ায় নোমান ও মুন্না নামে দুই ভাইয়ের খামারে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে জানা যায়, খামারে ১৫ দিন বয়সের প্রায় ২ হাজার পোল্ট্রি মুরগি ছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত খামারের সব মুরগি সুস্থ দেখেছেন খামারের শ্রমিক রাশেদুল ইসলাম।  শুক্রবার সকাল ৮টায় তিনি দেখতে পান প্রায় সব মুরগি মরে পড়ে আছে। 

রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমি এই খামারে অনেক দিন ধরে কাজ করছি। এখান থেকেই আমার সংসার চলে। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে কয়েকবার মুরগিকে খাবার দিয়েছি। তখনও মুরগিগুলো সুস্থ ছিল। আজ সকাল ৮টার দিকে খামারে গিয়ে দেখি প্রায় সব মুরগি মরে পড়ে আছে। 

এলাকাবাসী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘নোমান ও মুন্না দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরে মুরগির খামার দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিল। আজ ভোররাতে কে বা কারা তাদের খামারের মুরগিগুলো মেরে ফেলেছে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’’ 

খামারী মুন্না বলেন, ‘‘গতকাল রাত ৮টার সময় মুরগিগুলো আমি ভালো দেখে এসেছি। আজ সকালে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি এই ঘটনা। রাতে খামারের সব পর্দা ফেলানো থাকে। সকালে কয়েক জায়গার পর্দা উঠানো ছিল। পর্দার পাশে বিষের গন্ধ পেয়েছি। আমার এতো বড় ক্ষতি কে করলো? আমি এর বিচার চাই।’’  

এ বিষয়ে হাকিমপুর (হিলি) উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, ‘‘মৃত মুরগির পোস্টমর্টেম করেছি। কোনো রোগের আলামত পাইনি। তবে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে বিষাক্ত কিছু প্রয়োগ করা হয়েছে। আমরা ঢাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আলামত পাঠাবো, তার আগে কিছু বলা যাবে না।’’

মোসলেম//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে ইলিশ মিলছে কম, চড়া দাম আড়তে

নিষেধাজ্ঞা শেষে দীর্ঘ বিরতির পর আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম সামুদ্রিক মৎস্য আড়ত কেবি বাজার। সাগরে প্রায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় আবারও সরগরম হয়ে উঠেছে বাগেরহাটের ভৈরবতীরের এ মাছ বাজার। 

সাগরে মাছ আহরণ শেষে শুক্রবার ভোরে কেবি বাজার ঘাটে দুটি ট্রলার ভেড়ে। তবে মাছের পরিমাণ চাহিদার তুলনায় অনেক কম। ব্যবসায়ীরা জানান, ৫৮ দিনের অবরোধ শেষে সাগর থেকে এই প্রথম দুটি ট্রলার এসেছে। তবে এসব ট্রলারে মাছের পরিমান খুবই কম। ফলে দাম অনেক বেশি। 

জেলে রুহুল জানান, তাদের ট্রলার সাগরে যাওয়ার পরে মাত্র কয়েকবার জাল ফেলতে পেরেছেন। এতে অল্প কিছু ইলিশসহ নানা ধরনের মাছ পেয়েছেন। পরে ট্রলারে সমস্যা হওয়ায় চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। 

শুক্রবার বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আধা কেজি থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ২ হাজার থেকে ২৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

এ ছাড়া রূপচাঁদা আকার ভেদে প্রতিকেজি ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, কঙ্কন, তুলারডাটি, ঢেলা চ্যালা, ভেটকি, লইট্টা, ছুরি, জাবা, বিড়াল জাবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ একশ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সাগর থেকে বেশি করে ট্রলারের আগমন ও মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে দাম কমবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। 

মোরেলগঞ্জ থেকে মাছ কিনতে আসা তৈয়ব মুন্সি বলেন, সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে তিনি বাজারে আসেননি। অনেক দিন পরে আজই বাজারে এসেছেন, তবে দাম অনেক বেশি। তারপরও কিছু মাছ কিনেছেন। বেশি দামে মাছ কিনে এলাকায় বিক্রি করে লোকসানের শঙ্কা জানান তিনি। 

কেবি বাজার আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার বিশ্বাস বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর শুক্রবার প্রথমবারে সাগর থেকে ট্রলার এসেছে। জেলেরা তেমন মাছ পায়নি। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পাইকার আসছে। যার কারণে দাম কিছুটা বেশি। সাগরে বেশি পরিমাণ মাছ ধরা পড়লে দাম কিছুটা কমবে বলে জানান তিনি।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সাগরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগরে ইলিশ মিলছে কম, চড়া দাম আড়তে