কাঞ্চনকে না পেলে বিয়েই করতাম না: শ্রীময়ী
Published: 14th, February 2025 GMT
‘কৃষ্ণকলি’খ্যাত টেলিভিশন অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান টলিউড অভিনেতা ও বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। এ নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি, তা গড়ায় মামলা পর্যন্ত। সব বিতর্ক ও মানুষের সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শ্রীময়ীকে স্ত্রী হিসেবে ঘরে তুলেছেন ৫৪ বছরের কাঞ্চন মল্লিক।
বিয়ের আগে সম্পর্কের কথা স্বীকারই করেননি শ্রীময়ী। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী জানান, কাঞ্চনকে না পেলে বিয়েই করতেন না তিনি।
ব্যাপারটি খোলাসা করে শ্রীময়ী চট্টরাজ বলেন, “আমি কোনো দিন চাইনি আমাদের সম্পর্ক পরিণতি পাক। ও ভালো থাকুক এটাই চেয়েছিলাম। বিয়ে না হলেও একইভাবে বন্ধুত্ব রাখতাম। তবে আমি বিয়ে করতাম না।”
আরো পড়ুন:
আমরা আদর করি চুমু খাই, হাঁটুর বয়েসি প্রেমিকাকে নিয়ে কবীর সুমন
রঙিন ফাগুনে প্রেমিকার ছবি প্রকাশ করলেন পঁচাত্তরের কবীর সুমন!
স্ত্রীর এমন বক্তব্যে অভিভূত কাঞ্চন মল্লিক। আত্মপক্ষ সমর্থন করে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, “আমার জন্য ওর যা আত্মত্যাগ, তার চার আনাও আমার নেই।”
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর দাম্পত্য জীবন কেবল ভালোবাসায় ভরপুর, তা ঠিক নয় ঝগড়াও হয়। এ বিষয়ে শ্রীময়ী বলেন, “তার অভিমান একটু বেশি। তবে কাঞ্চন নাকি সেই অভিমান সামাল দিতে ঢাল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। বোঝার চেষ্টা করেন, এ কোন ঝড়র পূর্বাভাস।”
মানুষ কাঞ্চন, স্বামী বা বাবাদ কাঞ্চন কেমন তাও ব্যাখ্যা করেছেন শ্রীময়ী। তার ভাষায়— “ছেলে হিসেবে কাঞ্চন একশোয় একশো। বাবা হিসেবে একশোয় আশি। স্বামী হিসেবে একশোয় চল্লিশ। প্রেমিক হিসেবে একশোয় আশি। তবে বলে দিই, বাবা হিসেবে আশি দিলাম তার একটাই কারণ। কাঞ্চনের সময় অনেক ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। সারাদিন অনেক জায়গায় যেতে হয়। বহু কমিটমেন্ট থাকে। বাকি একদম পারফেক্ট।”
গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭ বছর বয়সি শ্রীময়ীকে রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন কাঞ্চন। এরপর সামাজিক রীতি মেনে ২৬ বছরের ছোট শ্রীময়ীকে ঘরে তুলেন। গত বছরের ২ নভেম্বর কন্যাসন্তানের বাবা-মা হন এই দম্পতি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।