টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করলেও ওয়ানডে সিরিজে ঠিক উল্টো চিত্র দেখল অস্ট্রেলিয়া। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কোয়ালিফাই করতে না পারা স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে গেছে স্টিভেন স্মিথের দল। সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ১৭৪ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে অজিরা।

কুশল মেন্ডিসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে (১০১) ভর করে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ২৮১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা অপরাজিত ৭৮ রান করেন, আর ওপেনার নিশান মাদুশকা করেন ৫০ রান। শেষদিকে জানিথ লিয়ানেগের ৩২ রান দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার চার বোলার একটি করে উইকেট নেন।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরে ম্যাথু শর্ট, জেইক ফ্রেসার ম্যাগার্ক ও হেড। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন অধিনায়ক স্মিথ, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে ইংলিশের ব্যাট থেকে। শেষ ২৮ রান নিতে তারা হারিয়েছে ৭ উইকেট। এতে মাত্র ১০৭ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডেতে এশিয়ায় যা অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন, আর সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। শ্রীলঙ্কার হয়ে দুনিথ ওয়েল্লালেগে ৪ উইকেট নেন, আসিথা ফের্নান্দো ও ভানিদু হাসারাঙ্গা নেন ৩টি করে উইকেট।

প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ম্যাচেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করে সিরিজসেরা হয়েছেন আসালাঙ্কা। আর ম্যাচসেরা হয়েছেন কুশল মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই দাপুটে জয়ে স্বাগতিকরা ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল অস্ট্রেলিয়াকে, যা দলটির জন্য বিশাল প্রাপ্তি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

৪২ বছর পর নিউ জিল‌্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল‌্যান্ড

১৯৮৩ সাল আবার মনে করাল ইংল‌্যান্ড। নিউ জিল‌্যান্ডে গিয়ে সেবার ইংল‌্যান্ড ৩-০ ব‌্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল। ৪২ বছর পর একই অভিজ্ঞতা হলো এবার তাদের।

আগেই সিরিজ নিশ্চিত করা নিউ জিল‌্যান্ড এবার আরো চেপে ধরেছিল ইংল‌্যান্ডকে। তবুও লড়াই করে ওয়েলিংটনে অতিথিরা ২২২ রানের পুঁজি পায়। হোয়াইটওয়াশের মিশনে থাকা নিউ জিল‌্যান্ডের ব‌্যাটিং তেমন ভালো হয়নি। লো স্কোরিং ম‌্যাচ জমে উঠে। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৪ ওভারে হাতে ২ উইকেট রেখে লক্ষ‌্যে পৌঁছে যায় কিউইরা। ১৯৮৩ সালের পর প্রথম নিউ জিল‌্যান্ড ইংল‌্যান্ডকে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ করল।

টস হেরে ব‌্যাটিং করতে নেমে ইংল‌্যান্ড চরম বিপর্যয়ে পড়ে। ৯৭ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ১০২ রানে তাদের শেষ স্বীকৃত ব‌্যাটসম‌্যান জস বাটলার (৩৮) আউট হন। তখন ধারণা করা হচ্ছিল অল্পতেই গুটিয়ে যাবে সাবেক বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়নরা।

কিন্তু সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ব্রাইডন চার্স ও জেমি ওভারটন। দুজন ৫৮ রানের জুটি গড়েন। যেখানে ব্রাইডন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিয়ে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ বলে ৩৬ রান করেন। ইংল‌্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের জুটি আসে তাদের ব‌্যাটেই।

শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে ওভারটন আউট হন ৪১তম ওভারে। ৬২ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৮ রান করেন ডানহাতি ব‌্যাটসম‌্যান। এর আগে জেমি স্মিথ (৫), বেন ডাকেট (৮), জো রুট (২) ও হ‌্যারি ব্রুক (৬) দ্রুত আউট হন। দলের প্রথম ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেন পাঁচ নম্বরে নামা জ‌্যাকব মিচেল। তবুও ১১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

নিউ জিল‌্যান্ডের বোলিং ছিল নিয়ন্ত্রিত। ৬৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা ছিলেন ব্লায়ার টিকনার। ৩ উইকেট পেয়েছেন জ‌্যাকব টাফি। ২টি পেয়েছেন জ‌্যাক ফলকস।

জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৭৮ রান পায় কিউইরা। ডেভন কনওয়ে ৩৪ ও রাচীন রাভিন্দ্রা ৪৬ রান করেন। এরপর ছন্দ হারিয়ে ব‌্যাকফুটে চলে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু ডার্ল মিচেলের অনবদ‌্য ৪৪ ও শেষ দিকে মিচেল স্টানারের ২৭ রানে নিউ জিল‌্যান্ড লড়াইয়ে ফেরে। শেষ দিকে জ‌্যাক ফলকসের ১৪ ও ব্লায়ার টিকনারের ১৮ রানে নিউ জিল‌্যান্ডের জয় নিশ্চিত হয়।

ইংলিশদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন ওভারটন ও স‌্যাম কারান।

এই সিরিজে ইংল‌্যান্ডের ব‌্যাটিং একটুও ভালো হয়নি। প্রথম ম‌্যাচে ২২৩ ও দ্বিতীয়টিতে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায়। নিউ জিল‌্যান্ড জয় পায় যথাক্রমে ৪ ও ৫ উইকেটে। শেষ ম‌্যাচে খানিকটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়লেও হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারেনি ইংল‌্যান্ড।

বল হাতে ৪ উইকেট ও ব‌্যাটিংয়ে ১৮ রান করে ম‌্যাচ সেরা নির্বাচিত হন টিকনার। ১৭৮ রান করে সিরিজ সেরা ডার্ল মিচেল।

ঢাকা/ইয়াসিন 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪২ বছর পর নিউ জিল‌্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ ইংল‌্যান্ড
  • হার, হতাশা, হাহাকার