Risingbd:
2025-11-03@23:17:59 GMT

টুপি ও আতরের দোকানে ভিড় 

Published: 14th, February 2025 GMT

টুপি ও আতরের দোকানে ভিড় 

আজ পবিত্র শবে বরাত। হিজরি সনের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি সৌভাগ্যের রাত হিসেবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতে মগ্ন থাকবেন। অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণে দোয়া করেন।

পবিত্র শবে বরাতকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের অনেকেই এখন ভিড় জমাচ্ছেন টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম-সংলগ্ন রাজধানীর আতর-টুপির প্রধান মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, বেচাকেনা বেশ জমজমাট।

আরো পড়ুন:

শবে বরাতের রাতে আতশবাজি-পটকা ফোটালে ব্যবস্থা

শবে বরাতে কিছু পেতে হলে চেষ্টা করতে হবে

গাজী স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো.

কামলউদ্দিন বলেন, “২০ টাকা থেকে টুপির দাম শুরু হয়ে ২ হাজার টাকা দামের টুপি রয়েছে। অধিকাংশ ক্রেতা ৫০ থেকে ৫০০ টাকা দামের মধ্যে টুপি খুঁজছেন। কিছু টুপি ভারত, পাকিস্তান ও তুরস্ক থেকে আসে। পাশাপাশি দেশি টুপিও আছে, দাম কিছুটা কম।”

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মনির হোসেন টুপি দেখছিলেন। তিনি বলেন, “আজ শবে বরাত। নতুন একটি টুপি কিনেছি। ২৫০-৪০০ টাকার মধ্যে বেশ সুন্দর টুপি পাওয়া যায়।”

‘ইসলাম আতর হাউসে’র মফিজুর রহমান বলেন, “আজ সকাল থেকেই আতরের বিক্রি ভালো। উআল হারমাইন, মুস্তাহ আল তাহারা, আল আরাবিয়া, আসওয়াদ আতর রয়েছে। ভালো মানের আতরের দাম প্রতি মিলিলিটার ৫০০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।”

আতর কিনতে আসেন আনসারুল হক হক। তিনি বলেন, “আজ সবাইকে নিয়ে শবে বরাতে নামাজে যাব। নতুন টুপির সঙ্গে আতর দেই। তাই আজ আতর কিনেছি।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ