বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে যমুনা নদীর স্পারে ঘুরতে এসে মুঠোফোনে সেলফি তোলার সময় অসাবধানবশত নদীতে পড়ে কলেজপড়ুয়া তিন শিক্ষার্থীসহ চার বন্ধু নিখোঁজ হয়। পরে ধুনট ফায়ার সার্ভিসের স্থানীয় ডুবুরিরা তল্লাশি চালিয়ে তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। তবে জুনায়েদ রহমান (১৮) নামে এক কলেজছাত্র এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

আজ শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর বানিয়াজান স্পার (বাঁধ) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে তারা যমুনা নদীর স্পারে সেলফি তোলার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

নিখোঁজ কলেজছাত্র জুনায়েদ বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের (আরডিএ) উচ্চ মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং শেরপুর উপজেলা সদরের টাউন কলোনি এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিখোঁজের পর উদ্ধার হওয়া অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন শেরপুর টাউন কলোনি এলাকার আবুল কালাম আজাদ ছেলে ও শেরপুর আরডিএ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাফিজ ইকবাল (১৮), শেরপুর টাউন কলোনি এলাকার গোলাম সরোয়ারের ছেলে ও আরডিএ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব আহম্মেদ (১৮) এবং সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার হারচি গ্রামের সোলায়মান আলীর ছেলে ও রাজধানীর মিরপুরের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মো.

আবদুল্লাহ (২০)।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে চার শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি মেয়ের সঙ্গে যমুনার স্পার বানিয়াজানে দেখা করতে আসে। এর মধ্যে একজনের প্রেমিকা ওই মেয়ে। আজ বিকেল চারটার দিকে বানিয়াজান স্পার এলাকায় প্রেমিকাকে রেখে চার বন্ধু যমুনা নদীর তীরে মুঠোফোনে সেলফি তোলার প্রতিযোগিতায় নামে। একপর্যায়ে চারজন একসঙ্গে যমুনা নদীতে পড়ে ডুবে যায়। এ সময় সেখানকার স্থানীয় লোকজন তিন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। তবে একজনকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ব্যর্থ হন।

ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুর মোরশেদ প্রথম আলোকে বলেন, যমুনা নদীর তীরে চার বন্ধু সেলফি তোলার সময় নদীতে পড়ে যায়। যমুনা নদীর পানিতে তীব্র স্রোত বইছে। এ কারণে নিখোঁজ জুনায়েদের সন্ধানে বিকেলে ভাটির দিকে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তাতে তার সন্ধান না পাওয়া গেলে রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে ডাকা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ রোববার সকালে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধারের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তাঁদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তদন্ত না করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী মাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুস সালামের বাড়ির গোয়াল থেকে কয়েকজন তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বাড়ির লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। গরু চুরির কথা শুনে সবাই মিলে লাঠিসোঁটা হাতে তাঁদের ধাওয়া করেন। ধাওয়া খেয়ে তাঁরা পাশের নাসিরাবাদ গ্রামের দিকে পালিয়ে যান।

পরে নাসিরাবাদ গ্রামের লোকজন গরু চোরের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁদের ধাওয়া করলে তিনজন স্থানীয় একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। এ সময় এলাকাবাসী তাঁদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে পিটুনি দেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আরেকজন গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যা