নাটোরে পিটুনি দিয়ে যুবলীগ নেতাকে পুলিশে দিলেন ছাত্র-জনতা
Published: 14th, February 2025 GMT
নাটোরে জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে যুবলীগের নেতা আবদুর রাজ্জাক ওরফে ডাবলুকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার দুপুরে শহরের গাড়িখানা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আবদুর রাজ্জাক নাটোর পৌর যুবলীগের সভাপতি ও শহরের গাড়িখানা মহল্লার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার মামলা রয়েছে।
নাটোর সদর থানা সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা দুইটার দিকে আবদুর রাজ্জাক গাড়িখানা জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় কতিপয় তরুণ তাঁকে আটক করে বেধড়ক মারধর করে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। বিকেলে তাঁকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গাড়িখানা মসজিদের সামনে থেকে আবদুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাঁকে জুলাই-আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ র র জ জ ক
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’