প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‍“প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দুবাই সফর বাংলাদেশকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করেছে।”

তিনি ১৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার সফরে আমাদের বড় অর্জন হলো- এতে আমিরাতের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, “পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল এবং সেই কারণেই বাংলাদেশিদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা প্রদান দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত ছিল।”

আরো পড়ুন:

দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

মুহাম্মদ ইউনূস ও ইলন মাস্কের মধ্যে আলোচনা, ‘আসছে’ স্টারলিংক

তিনি বলেন, “তাই সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।”

প্রেস সচিব বলেন, “এছাড়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশিদের জন্য একটি বড় কর্মসংস্থানের জায়গা। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দূরত্বের কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চাকুরির বাজারে বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের প্রবেশাধিকার ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে।”

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরকালে ডব্লিউজিএস-এ যোগদানের পাশাপাশি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়িক বিনিয়োগের পরিকল্পনা এবং খেলাধুলা ও শিক্ষা সম্পর্ক জোরদারসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা আমিরাত কর্তৃপক্ষের প্রতি বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং বাংলাদেশ থেকে আরো কর্মী নিয়োগের আহ্বান জানান।

প্রফেসর ইউনূস বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব সরকার শীর্ষ সম্মেলন (ডব্লিউজিএস)-এর ফাঁকে দুবাইতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সাথে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

তিনি দুবাইতে ডব্লিউজিএস-এর ভেন্যুতে একটি ইন্টারেক্টিভ প্লেনারি অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। সিএনএন-এর বেকি অ্যান্ডারসন অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন।

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আব্দুল রহমান বিন মোহাম্মদ আল ওয়াইস ডব্লিউজিএস-এর ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন।

এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ৌদি অধ্যাপক ইউনূসের সাথে বৈঠক করেন।

অধ্যাপক ইউনূস (শুক্রবার) দুবাই শহরে ডব্লিউজিএস-এ যোগদানের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষ করেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড.

আহমেদ বেলহুল আল ফালাসি প্রধান উপদেষ্টাকে দুবাই বিমানবন্দরে বিদায় জানান। 

অধ্যাপক ইউনূস ডবি-উজিএস-এ অংশ নিতে বুধবার রাতে দুবাই পৌঁছান।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ দুবাই সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।

সূত্র: বাসস

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউন স

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়-সাদমানের শতরানের জুটি, প্রথম সেশন বাংলাদেশের

চট্ট্রগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা দুর্দান্ত কেটেছে বাংলাদেশ। ৯ উইকেটে ২২৭ রানে দিন শুরু করে জিম্বাবুয়ে। দিনের প্রথম বলেই সফরকারীদের শেষ উইকেটটি তুলে নেন তাইজুল। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে প্রথম ইনিংসের সেরা বোলার টাইগার এই স্পিনার।

জিম্বাবুয়েকে ২২৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইতিবাচক শুরু করেন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সাদমান ইসলাম। কোনো উইকেট না হারিয়েই প্রথম সেশন শেষ করেন তারা। বিজয় ৩৮ এবং সাদমান ৬৬ রানে ব্যাট করছেন। ২৬ ওভারে বাংলাদেশ করে বিনা উইকেটে ১০৫ রান। এরপরই মধ্যাহ্নভোজে যায় দুই দল। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের পর এবারই প্রথম টেস্টের ওপেনিং জুটিতে পঞ্চাশ রান তুলতে পারল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয় ৩২ ইনিংস পর বাংলাদেশ পেয়েছে ওপেনিং জুটিতে শতরানের জুটি। 

সাদমানের ফিফটি

সিলেট টেস্টে ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি সাদমান। তবে চট্টগ্রামে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ৭৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ক্যারিয়ারে এটি তার ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি। ২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে ৮৬ রান। সাদমান ৫০ রানে এবং বিজয় ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।

সাদমান-বিজয়ের জুটির ফিফটি

সাদমান ইসলাম এবং এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটে ইতিবাচক সূচনা পেয়েছে বাংলাদেশ।  ১৩.৪ ওভারে  বিনা উইকেটে ৫০ রান করেছে স্বাগতিকরা।  ১২ ইনিংস পর পঞ্চাশ পেরোনো শুরুর জুটি পেল তারা।  ভারতের বিপক্ষে গত বছর সেপ্টেম্বরে শেষবার ৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন সাদমান ও জাকির হাসান।

প্রথম বলেই তাইজুলের আঘাত, ২২৭ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে

প্রথম দিনের দুই সেশনে দাপট দেখালেও শেষ সেশনে ব্যাটিং ধসে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। ২ উইকেটেই ১৭৭ রান থেকে জিম্বাবুয়ে দিনশেষ করে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে। তাইজুল ইসলাম ৫ উইকেট নিয়ে গতকাল তাদের এলোমেলো করে দিয়েছিলেন। 

দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যত দ্রুত সফরকারীদের অলআউট করা যায়। এই লক্ষ্যে দিনের প্রথম বলেই মুজারাবানিকে ফেরায় তাইজুল। এতে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানেই অলআউট জিম্বাবুয়ে। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিলেন তাইজুল।

তাইজুলের ঘূর্ণিতে প্রথম দিন বাংলাদেশের
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিজয়-সাদমানের শতরানের জুটি, প্রথম সেশন বাংলাদেশের
  • হতাশার সেশন কাটিয়ে চা-বিরতিতে বাংলাদেশ