তিন জিম্মির বিনিময়ে আজ ৩৬৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরায়েল
Published: 15th, February 2025 GMT
গাজা যুদ্ধবিরতি ও হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান বন্দি বিনিময়ের প্রথম পর্যায়ের ষষ্ঠ ধাপের অংশ হিসেবে আজ শনিবার তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে একইদিন ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল।
হামাসের সামরিক বিভাগ আল কাসেম ব্রিগেড এবং ফিলিস্তিনি কারাবন্দীদের সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস পৃথক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। প্রিজনার্স মিডিয়া অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার মুক্তির অপেক্ষা থাকা কারাবন্দীদের মধ্যে ৩৩৩ জনই গাজার বাসিন্দা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাদের। বাকি ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত।
এই ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি কারাবন্দীর বিনিময়ে যে তিন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাচ্ছেন আজ, তাদের নাম গতকালই ইসরায়েলের সরকারের কাছে পাঠিয়েছে হামাস। এই জিম্মিরা হলেন সাশা ত্রোউফানভ, সাগুই দেকেল-শেন এবং আয়ার হর্ন। ২০২৩ সালে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালিয়ে যে আড়াই শতাধিক মানুষকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে এসেছিল হামাস, তাদের মধ্যে এরাও ছিলেন।
আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র হাজেম কাসেম তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, এই মুক্তি প্রক্রিয়া ‘যথাযথ পদ্ধতিতে’ হবে, যা ফিলিস্তিনের ‘সংস্কৃতি এবং ইসলামের শিক্ষার’ প্রতিফলন ঘটাবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
বেসরকারি খাতের পূবালী ব্যাংক ২ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিচালন মুনাফা করলেও বছর শেষে ব্যাংকটির নিট মুনাফা হাজার কোটি টাকা ছাড়ায়নি। গত বছর শেষে পূবালী ব্যাংকের নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৮০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছিল ৬৯৮ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকটির মুনাফা ৮২ কোটি টাকা বা প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পাশাপাশি গত বছরের জন্য লভ্যাংশও অনুমোদন করা হয় গতকালের এই সভায়। গত বছরের জন্য ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যার মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। ২০২৩ সালেও ব্যাংকটি একই হারে শেয়ারধারীদের লভ্যাংশ দিয়েছিল।
ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংক ঋণের সুদ থেকে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা আয় করেছে। বিনিয়োগ, কমিশন, মুদ্রা বিনিময় ও ব্রোকারেজ থেকে আয় করেছে ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। তাতে সব মিলিয়ে আয় হয় ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। বিদায়ী বছরে বেতন-ভাতাসহ নানা খাতে খরচ হয় ১ হাজার ৯৩৩ কোটি টাকা। ফলে পরিচালন মুনাফা হয় ২ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। ব্যাংকটি বিদায়ী বছরে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করে ৯৬১ কোটি টাকা। এরপর কর পরিশোধের পর নিট বা প্রকৃত মুনাফা হয় ৭৮০ কোটি টাকা।
জানতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় আমরা চাহিদার বেশি নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এই পরামর্শ দিয়েছে। খেলাপির তুলনায় বেশি সঞ্চিতি রাখার মাধ্যমে ব্যাংকটির ভিত্তি মজবুত করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে পূবালী ব্যাংকের আমানত বেড়ে হয়েছে ৭৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ বেড়ে দাঁড়ায় ৬২ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা। আর খেলাপি ঋণের হার কমে নেমে এসেছে ২ দশমিক ৬৭ শতাংশে। ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন এখন ১ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা। আর কর্মীর সংখ্যা ১০ হাজার ৬৭৮। সারা দেশে ৫০৮টি শাখা ও ২২৭টি উপশাখা রয়েছে ব্যাংকটির। বর্তমানে বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি নেটওয়ার্ক পূবালী ব্যাংকের।