জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স, ফি ৩০০ টাকা
Published: 15th, February 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন মাস্টার্সে (প্রফেশনাল) চলতি শিক্ষাবর্ষে বিএড, বিপিএড, বিএমএড, বিএসএড, এমএড, এমএসএড, এমপিএড কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হবে। আবেদন শুরু হবে আগামী সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে। ওই দিন বিকেল চারটা থেকে অনলাইনে এ আবেদন শুরু হবে। আগ্রহী প্রার্থীরা ৬ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। একই সময়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এলএলবি শেষ পর্ব, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিএ ইন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এমএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (এমবিএ) ভর্তি আবেদন নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনচীনে বৃত্তিতে আবেদন করুন দ্রুত, ১১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা ২২ ঘণ্টা আগেজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ–সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। প্রাথমিক আবেদন ফি ৩০০ টাকা। আবেদন করা কলেজে (কলেজ নির্ধারিত মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাধ্যমে অথবা সরাসরি) ৯ মার্চের মধ্যে অবশ্যই জমা দিতে হবে। এ শিক্ষা কার্যক্রমে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে আগামী ১০ এপ্রিল।
এদিকে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স (প্রফেশনাল) ভর্তি কার্যক্রমে আবেদনকারীদের স্নাতক পর্যায়ে উত্তীর্ণ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি কলেজে আলাদাভাবে কোর্সভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হবে।
আরও পড়ুনতুরস্কের কোক বিশ্ববিদ্যালয় স্কলারশিপ, আবেদনে করুন দ্রুত১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রাথমিক আবেদন ফরমে আবেদনকারীর ছবি/কোনো তথ্য ভুল বা অসম্পূর্ণ বলে প্রমাণিত হলে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন বাতিল বলে গণ্য হবে। এ–সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
আরও পড়ুননার্সিংয়ে ভর্তি পরীক্ষা, আবেদন শুরু, জেনে নিন সব তথ্য১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ ক ষ বর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বাণিজ্য-বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করবে: ঢাকা চেম্বার
বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারাবাহিক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সংস্থাটি বলছে, কড়াকড়ি মুদ্রানীতির প্রভাবে ঋণপ্রবাহ কমে যাওয়ায় দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে ডিসিসিআই জানায়, ২০২৫ সালের জুনের শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ৬.৪ শতাংশে নেমে এসেছে, যা গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ধারা অর্থনীতির জন্য উদ্বেগজনক। চেম্বার মনে করে, ব্যবসায়িক পরিবেশে অনিশ্চয়তা, আইন-শৃঙ্খলার চ্যালেঞ্জ, জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি এবং কঠোর মুদ্রানীতির কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ধারা আরো তীব্র হচ্ছে।
ডিসিসিআই আরো জানায়, ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হওয়ার ফলে খেলাপি ঋণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায়, যা ব্যাংকিং খাতে মোট বকেয়া ঋণের প্রায় ২৭.০৯ শতাংশ। এ পরিস্থিতি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ব্যবসায়িক আস্থা হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিসূদ হার ১০ শতাংশে অপরিবর্তিত রেখেছে-যা ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্পসহ উৎপাদনমুখী খাতগুলোর জন্য বড় চাপ তৈরি করছে বলে মনে করে ডিসিসিআই। সংস্থাটির ভাষ্য, দীর্ঘমেয়াদি উচ্চ সুদের হার উৎপাদন ও বিনিয়োগ খাতে ঋণের ভার বাড়াচ্ছে, ফলে সামগ্রিক অর্থনীতির গতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে।
চলতি মুদ্রানীতিতে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৫) বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা আরো কমিয়ে ৭.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে আগের ছয় মাসে তা ছিল ৯.৮ শতাংশ। বিপরীতে সরকার খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২০.৪ শতাংশ করা হয়েছে। ঢাকা চেম্বারের মতে, এ ব্যবস্থায় সরকারি খাতের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বেসরকারি খাতের জন্য আর্থিক খরচ ও প্রতিযোগিতা উভয়ই বেড়ে যাবে।
এ অবস্থায় ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়াতে নীতিসূদ হার হ্রাস এবং ঋণ গ্রহণের শর্তাবলি সহজ করার আহ্বান জানিয়েছে ডিসিসিআই। তারা সৎ ঋণগ্রহীতাদের রক্ষায় সহায়তা এবং তাৎক্ষণিক খেলাপি শ্রেণিতে পড়া এড়াতে ঋণ শ্রেণিবিন্যাসে সময়সীমা ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
সংস্থাটি মনে করে, টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করতে হলে আর্থিক খাতে কাঠামোগত সংস্কার, ঋণ বরাদ্দে স্বচ্ছতা এবং বাজারে তারল্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে।
চূড়ান্তভাবে ডিসিসিআই বলছে, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষা, বেসরকারি খাতে আস্থা পুনরুদ্ধার ও বিনিয়োগ বাড়াতে আরো নমনীয়, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও খাতভিত্তিক প্রতিক্রিয়াশীল মুদ্রানীতির বিকল্প নেই।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ