এবার ডিপিএলে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ মুনিমের
Published: 15th, February 2025 GMT
সম্প্রতি শেষ হওয়া বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা ঠিক মতো পারিশ্রমিক পাননি। একাধিকবার ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকের দেওয়া চেক বাউন্স করেছে। একাধিকবার কথা দিয়েও পারিশ্রমিক শোধ করেনি দুর্বার রাজশাহী কর্তৃপক্ষ।
এবার ডিপিএলে (ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) বকেয়া পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ আনলেন জাতীয় দলের হয়ে টি-২০ খেলা মুনিম শাহরিয়ার। দুয়ারে কড়া নাড়ছে নতুন ডিপিএলের মৌসুম। অথচ গত (২০২৩-২৪) মৌসুমে পার্টেক্স স্পোর্টিং ক্লাবে খেলে ৫০ শতাংশ পারিশ্রমিক এখনো পাননি টপ অর্ডার এই ব্যাটার।
মুনিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে এই অভিযোগ করেছেন। তার দাবি, ১২-১৩ তার তাকে পাওয়া পারিশ্রমিক দিয়ে দেওয়া হবে এমন আশ্বাস দেওয়া হলেও তিনি পারিশ্রমিক পাননি। বরং পাওয়া টাকা চাওয়ায় তাকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে।
স্থানীয় ক্রিকেটারদের আয়ের মূল উৎস এই ডিপিএল। বিদেশি ক্রিকেটারদের আধিক্য থাকায় অনেক সময় স্থানীয় ক্রিকেটাররা বিপিএলে খেলার সুযোগ পান না। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যস্ত থাকায় ডিপিএলে স্থানীয় ক্রিকেটারদের কদর বাড়ে। ভালো পারিশ্রমিক পাওয়ায় ডিপিএলের দিকে তাকিয়ে থাকেন অনেক ক্রিকেটার।
ঘরোয়া এই ক্রিকেটে পারিশ্রমিক নিয়ে কোন জটিলতা তৈরি হলে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) কাছে যান ক্রিকেটাররা। কিন্তু মুনিম অভিযোগ করেছেন, ক্রিকেটারদের এই সংগঠনের বড় পদে আছেন পার্টেক্স ক্রিকেট ক্লাবের প্রতিনিধি সাজ্জাদ। তিনি পারিশ্রমিক নিয়ে অভিযোগ করে উল্টো মানহানির শিকার হচ্ছেন।
মুনিম দাবি করেছেন, তাকে পারিশ্রমিক না দেওয়ার পেছনে কিছু যুক্তি দাঁড় করিয়েছে পার্টেক্স ক্লাব। এর মধ্যে অন্যতম হলো- মুনিম জোর করে পার্টেক্স ক্লাবের দলে ঢুকেছেন। অন্যটি হলো- তার পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। কিন্তু ডিপিএলের দলবদল পদ্ধতিতে জোর করে দলে ঢোকা সম্ভব নয়। আবার পারফরম্যান্স ভালো-খারাপের ওপর পারিশ্রমিক নির্ভর করবে এমন কোন শর্তও চুক্তিপত্রে থাকে না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়’
এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে আল-নাসর। তবে মাঠের ফলাফলের চেয়েও এখন আলোচনায় ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতিক্রিয়া। ম্যাচ শেষে তার ‘বিষণ্ণ ও নাটকীয়’ আচরণ উপহাস হিসেবে দেখছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
বুধবার রাতে জেদ্দার আলিনমা স্টেডিয়ামে জাপানি ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হারে সৌদি ক্লাব আল-নাসর। এই পরাজয়ে রোনালদোর দলের সামনে চলতি মৌসুমে আর কোনো ট্রফি জয়ের সুযোগ থাকল না। সেমিফাইনালের ম্যাচটিতে রোনালদো একটি সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করে। প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষককে কাটিয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হন পর্তুগিজ মহাতারকা। সমর্থকদের মতে, রোনালদোর গোল মিস করাটাই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
ম্যাচ শেষে হতাশ রোনালদোকে দেখা যায় মাঠের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে নিজে নিজে কথা বলতে ও আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছুটা নাটকীয় ভঙ্গিতে হাত নেড়েছেন। তার এই অদ্ভুত আচরণ নিয়েই এখন সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
একজন টুইটারে লিখেছেন, ‘রোনালদোর জন্য ‘ফুটবলকে ছেড়ে দাও, তার আগেই যে ফুটবল তোমাকে ছাড়বে’—এই কথাটা একেবারে যথার্থ।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এই লোকটা এখন আর মজার না… শুধু অহঙ্কারে ভরা।’
তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, ‘মেসির বিশ্বকাপ জয় মানসিকভাবে শেষ করে দিয়েছে রোনালদোকে।’ অন্য একজন কটাক্ষ করে বলেন, ‘ক্যামেরার জন্য এমন মরিয়া চেষ্টাও এক রকম প্রশংসার দাবি রাখে—যদি না সেটা এত করুণ হতো।’
অনেকে আবার রোনালদোর স্বার্থপরতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সে শুধু নিজের রেকর্ডের জন্য খেলে, দলের জন্য নয়।’
তবে এত সমালোচনার পরও অবসরের কোনো ইঙ্গিত দেননি রোনালদো। বরং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রতি নিজের গর্বের কথা জানান তিনি। রোনালদো লেখেন, ‘সবসময় স্বপ্ন পূরণ হয় না। তবে আমি গর্বিত আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে। যারা আমাদের পাশে থেকেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সমর্থন আমাদের অনেক কিছু বলে।’
এদিকে ম্যাচ শেষে আল-নাসরের কোচ স্তেফানো পিওলি দলের পারফরম্যান্সে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কৌশলে সমস্যা ছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ঝুঁকি নিয়েছিলাম। তবে যে পারফরম্যান্স হয়েছে, তা হতাশাজনক। প্রতিপক্ষ আমাদের চমকে দেয়নি, বরং নিজেদের দুর্বলতাই বড় ধাক্কা দিয়েছে।’
এই হারে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে আল-নাসর, আর প্রশ্নটা থেকে গেছে—রোনালদো আসলে কোথায় গিয়ে থামবেন?