ভালোবাসা দিবসে টাঙ্গাইলে ফুলের দোকান ভাঙচুর
Published: 15th, February 2025 GMT
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বসন্ত বরণ ও ভালোবাসা দিবসে ফুল বিক্রি করায় দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভূঞাপুর পৌর শহরের মামা গিফট কর্নারে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার ভাঙচুরের অভিযোগে হযরত আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি অলেয়া ইউনিয়নের বাড়ই গ্রামে।
ক্ষতিগ্রস্ত ফুলের দোকানদার আলম বলেন, সন্ধ্যায় কিছু লোকজন এসেই আক্রমণ চালিয়ে দোকানে ভাঙচুর করে। এ সময় তারা ফুলগুলো রাস্তায় ফেলে দেয়। ভালোবাসা দিবসে কেন ফুল বিক্রি করছি সেটাই অপরাধ। আরেকটি দোকান ভেঙেছে তা-ও কিছু বলিনি। এর আগের দিন তারা ফুল বিক্রি করতে নিষেধ করেছিলেন।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেছেন, ফুলের দোকান ভাঙচুর করার অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে শনিবার ভূঞাপুরে উদীচীর বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উদীচী ভূঞাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী হাসান জানান, ভালোবাসা দিবসের বিভিন্ন ঘটনার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বসন্ত বরণের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী সময়ে বসন্ত বরণ অনুষ্ঠান করা হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরায় চোর সন্দেহে একজনকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় চুরির অভিযোগে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জাঙ্গালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বেলা পৌনে ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. ইসরাফিল (৪০)। তাঁর বাড়ি উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ ভোরে জাঙ্গালিয়া গ্রামে তিনটি মুঠোফোন ও নগদ ১ হাজার ৬০০ টাকা চুরি হয়। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে মারধর করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ইসরাফিলের পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কয়েক দিন আগে পূর্ব নারায়ণপুর গ্রামের ইমরুল নামের এক ব্যক্তির মুঠোফোন চুরি হয়। সে সময় থেকেই ইসরাফিলকে সন্দেহ করা হচ্ছিল। আজ এলাকায় আরও একটি চুরির ঘটনা ঘটলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে এনে পিটিয়ে হত্যা করেন।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহমান বলেন, একরামুল নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে তিনটি মুঠোফোন ও টাকা চুরি হয়। ওই ঘটনায় ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে স্থানীয় লোকজন পিটুনি দেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আগে কয়েকটি চুরির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে কোনো মামলা নেই। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।