Prothomalo:
2025-11-03@21:07:52 GMT

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের নাম বদল

Published: 15th, February 2025 GMT

বদলে গেল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের নাম। নতুন নামকরণ হয়েছে জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে এই প্রথম কোনো স্টেডিয়ামের নাম বদল করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্টেডিয়াম ঢাকা স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল দীর্ঘদিন। রাষ্ট্রীয় অনেক ক্রীড়া অনুষ্ঠানও এই স্টেডিয়ামে হয়েছে। ক্রিকেট-ফুটবল এখানে ভাগাভাগি করে হতো। ২০০০ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট এখানেই হয়েছিল। এরপর ক্রিকেট এই স্টেডিয়াম থেকে সরে যায়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার আসার পর ১৯৯৮ সালে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কিছু স্টেডিয়ামের নাম বদল করেছে। উপজেলা পর্যায়ে ১৫০টি স্টেডিয়ামের নাম বদল হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। এগুলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। স্ব স্ব উপজেলার নামে এগুলোর নতুন নামকরণ হয়েছে।

দেশের নানা স্থাপনার মতো ক্রীড়াঙ্গনের অনেক স্থাপনাও বিদায়ী সরকার প্রধানের পরিবারের অনেক সদস্যের নামে ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্রীড়াঙ্গনেও ওই পরিবারের নামে কোনো স্থাপনার নামকরণ না রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তনের পর এবার দেশের মূল স্টেডিয়ামের নাম বদল করা হলো।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ট ড য় ম র ন ম বদল ন মকরণ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ