চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে অভিযানে নিষিদ্ধ ৩৭৮ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর। শনিবার বিএফডিসি জেটি সংলগ্ন ঘাটে সি পাওয়ার-১ নামের একটি ফিশিং জাহাজ থেকে এসব জাটকা জব্দ করা হয়। মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ জালও জব্ধ করা হয়।

চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ওসি মো.

একরাম উল্লাহ বলেন, জাটকা সংরক্ষণ আইন এবং নিষিদ্ধ জাল ব্যবহাররোধে সাগরে বিশেষ অপারেশন করে পাওয়ার-১ ফিশিং জাহাজ থেকে জাটকা জব্ধ করা হয়। নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে বেহুন্দি জাল, চরঘেরা জাল, কারেন্ট জাল, বেড় নিষিদ্ধ জাল জব্ধ করা হয়। এ অভিযান নিয়মিত চলবে।

চট্টগ্রাম মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহির জানান, জাটকা সংরক্ষণে ইলিশ রক্ষায় এ অভিযান করা হয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি মৎস্য সম্পদ রক্ষা করায় জোর দেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ টক মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ