চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে অভিযানে নিষিদ্ধ ৩৭৮ কেজি জাটকা ইলিশ জব্দ করেছে নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর। শনিবার বিএফডিসি জেটি সংলগ্ন ঘাটে সি পাওয়ার-১ নামের একটি ফিশিং জাহাজ থেকে এসব জাটকা জব্দ করা হয়। মাছগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ জালও জব্ধ করা হয়।

চট্টগ্রামের সদরঘাট নৌ পুলিশ থানার ওসি মো.

একরাম উল্লাহ বলেন, জাটকা সংরক্ষণ আইন এবং নিষিদ্ধ জাল ব্যবহাররোধে সাগরে বিশেষ অপারেশন করে পাওয়ার-১ ফিশিং জাহাজ থেকে জাটকা জব্ধ করা হয়। নৌ পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর যৌথভাবে বেহুন্দি জাল, চরঘেরা জাল, কারেন্ট জাল, বেড় নিষিদ্ধ জাল জব্ধ করা হয়। এ অভিযান নিয়মিত চলবে।

চট্টগ্রাম মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহির জানান, জাটকা সংরক্ষণে ইলিশ রক্ষায় এ অভিযান করা হয়েছে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি মৎস্য সম্পদ রক্ষা করায় জোর দেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ টক মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ

বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। 

মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।

মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ