ডিপিএলে পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ মুনিমের
Published: 15th, February 2025 GMT
দীর্ঘ এক ফেসবুক পোস্টে জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার মুনিম শাহরিয়ার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএলে) পারিশ্রমিক না পাওয়ার অভিযোগ এনেছেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে। এছাড়া তার নামে ‘‘অসংগতিপূর্ণ কথা ও মিথ্যাচার’’ করার কথাও বলেছেন।
ঢাকা লিগের পরবর্তী আসরের পর্দা উঠবে আগামী ৩ মার্চ। দলবদল হবে ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি। গত বছর মুনিম ঢাকা লিগ খেলেছেন পারটেক্সের হয়ে। ৬ ম্যাচে মাত্র ৮২ রান করেছিলেন। ছিল না কোনো ফিফটি। জানা গেছে, পারফরম্যান্সের কারণেই তার পারিশ্রমিক আটকে রেখেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। যদিও তাদের বক্তব্য চাওয়ার জন্য যোগাযোগ করা হলেও মেলেনি।
মুনিম শাহরিয়ার লিখেছেন, ‘‘আমার ক্রিকেট জীবনের একটি বাজে অভিজ্ঞতা এবং আমার কিছু অব্যক্ত কথা বলতে চাই। প্রফেশনাল ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের জীবিকা ক্রিকেট খেলার উপর নির্ভর করে। জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি আমাদের একমাত্র লক্ষ্য থাকে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা এবং দেশের পতাকাকে বিশ্ব মঞ্চে সম্মানিত করা। আলহামদুলিল্লাহ, দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করার সেই সৌভাগ্য আমার হয়েছে।’’
আরো পড়ুন:
কোচদের ঠিকানা পাল্টাচ্ছে
ডিপিএলে এবারও নেই বিদেশি ক্রিকেটার
‘‘এবার ঘটনা প্রবাহে আসা যাক, আমি (২০২৩-২৪) মৌসুমে অনুষ্ঠিত 'ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ' ক্রিকেটে 'পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের' হয়ে খেলার প্রস্তাব পাই। যারা ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত তারা অবশ্যই অবগত যে এই ক্লাবটি এতোটা প্রসিদ্ধ ক্লাব নয়, যেমনটা আবাহনী/মোহামেডান বা অন্যান্য ক্লাবগুলো । সদ্য জাতীয় দল থেকে অবস্থান হারানোতে স্বাভাবিকভাবেই আমি মনে করেছিলাম অপেক্ষাকৃত নিচুমানের ক্লাব হওয়ায় এই ক্লাবের হয়ে খেললে আমি সুযোগ বেশি পাবো এবং আমার জাতীয় দলে ফেরার পথ সহজতর হবে ‘’
‘‘তবে বাস্তবতা হলো ক্লাব সংশ্লিষ্ট সকলের সুমিষ্ট ব্যবহারে আমি তাদের কুট কৌশল এবং অভ্যন্তরীণ মনো অপরিচ্ছন্নতা বুঝতেই পারিনি। প্রাথমিকভাবে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের প্রতিনিধি সাজ্জাদ সাহেব এবং তার ছেলে জারিফের সঙ্গে আমার কথা হয়। সিজন শেষ হবার পূর্বেই আমার পারিশ্রমিক পরিশোধের বিষয়ে তারা প্রতিশ্রুতি দেন। খেলা চলাকালীন সময়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষ পারিশ্রমিকের ৫০% পরিশোধ করে। সিজন শেষ হওয়ার পূর্বেই তাদের শতভাগ পারিশ্রমিক পরিশোধের কথা ছিল’’
‘‘ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষ হয়েছে প্রায় এক বছর হতে চললো; অথচ ক্লাব কর্তৃপক্ষ আমার বাকি ৫০% পারিশ্রমিক পরিশোধ করেননি। গত এক বছরে ক্লাব কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সাজ্জাদ সাহেব আমাকে ১০ থেকে ১২ টি তারিখ দিয়েছেন অথচ টাকা পরিশোধ করেনি।’’
‘‘বরং তিনি টাকা পরিশোধ না করার এক্সকিউজ হিসেবে নানা মিথ্যাচার ও অবমাননাকর কথা রটিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যদি এতো মিথ্যাচার না করতেন এবং হয়রানি না করে প্রথমেই বলে দিতেন টাকা পরিশোধ করবেন না; তবে হয়তো আমি আজকে এই লিখা লিখতাম না। নীরবেই সয়ে যেতাম এবং ক্ষমা করে দিতাম।’’
‘‘পারিশ্রমিক পরিশোধ না করলেও আমার কোন দুঃখ থাকতো না। কারণ এরকম পরিস্থিতির শিকার পূর্বেও হয়েছি। কিন্তু সাজ্জাদ সাহেব আমার ব্যাপারে নানা অসঙ্গতিপূর্ণ কথা ও মিথ্যাচার ক্রিকেট মহলে করে যাচ্ছেন।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’