‘অভিবাসীরা নোংরা, জঘন্য আবর্জনা’—এ ধরনের মন্তব্যকে এখন আর মেটার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মে ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য হিসেবে চিহ্নিত করা হবে না। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক দিন আগে ফাঁস হওয়া এক নথি অনুযায়ী, মেটা এই নতুন নীতির ঘোষণা দেয়।

মেটার দাবি, এই পরিবর্তন দরকারি, কারণ মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গ মনে করেন, এই ধরনের মন্তব্যকে ঘৃণামূলক বক্তব্য হিসেবে বিবেচনা করার অর্থ হলো ‘মূলধারার আলোচনার বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকা।

আসলে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে যাতে ট্রাম্পের নতুন অভিবাসননীতি সহজে কার্যকর করা যায়। এতে স্পষ্ট হয়, তথ্য নিয়ন্ত্রণকারী প্রযুক্তি কোম্পানি ও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণকারী সরকার একসঙ্গে কাজ করছে। এটি দুপক্ষের জন্যই সুবিধাজনক ও লাভজনক।

এর প্রমাণ দেখা গেছে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের দিন, যেখানে বড় প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধানেরা বিশেষ অতিথি ছিলেন। তাঁরা ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় বড় অঙ্কের অর্থ দিয়েছিলেন।

অবশ্য অভিবাসীদের ওপর কঠোর নজরদারি করতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর সহায়তা নেওয়াটা নতুন কিছু নয়। ট্রাম্পের আগেও মার্কিন সরকার এসব কোম্পানির সঙ্গে মিলে এমন এক নজরদারির ব্যবস্থা তৈরি করেছে, যা শুধু অভিবাসীদের নয়, যে কারও ওপর নজর রাখতে পারে।

সরকার শুধু নিজের সংগ্রহ করা তথ্যের ওপর নির্ভর না করে বিভিন্ন তথ্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকেও তথ্য কিনছে। এসব ব্যবসায়ী মানুষের বয়স, কেনাকাটার অভ্যাস, অবস্থান, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিমা, আর্থিক তথ্যসহ নানা বিষয়ে বিশদ প্রোফাইল তৈরি করে বিক্রি করে। এই তথ্য পাওয়া যায় মুঠোফোন, গাড়ি বা বিদ্যুৎ-গ্যাসের মিটারের মতো উৎস থেকে।

প্যালান্টির, অ্যামাজন, সেলসফোর্সের মতো কোম্পানিগুলো এই বিচ্ছিন্ন তথ্য একত্র করে এমন সরঞ্জাম তৈরি করেছে, যা অভিবাসীদের শনাক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। অভিবাসন ও শুল্ক প্রয়োগ সংস্থা (আইসিই) এখন এমন প্রযুক্তি খুঁজছে, যা ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিশ্লেষণ ও মডেলিং করতে পারে।

ধারণা করা হয়, ২০২০ সালের পর থেকে আইসিই ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অভিবাসনবিষয়ক প্রযুক্তির জন্য প্রায় ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। এ জন্য তারা ২৬৩টি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে প্রায় ১৫ হাজারটি চুক্তি করেছে।

২০০৪ সাল থেকে মার্কিন সরকার ই-কার্সারেশন বা ডিজিটাল কায়দায় ‘বন্দী’ রাখার প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এর মধ্যে ‘পায়ের নজরদারি ব্রেসলেট’ (একধরনের ডিভাইস, যা অভিযুক্ত ব্যক্তি বা বন্দীর পায়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়, যাতে তাঁদের চলাফেরা নজরদারি করা যায়) ব্যবহারের মতো প্রযুক্তি রয়েছে।

যখন ক্ষমতাধরেরা ‘মুক্ত মতপ্রকাশ’-এর একপেশে ব্যবহার করেন, তখন তা সেন্সরশিপ, দমনপীড়ন এবং ধ্বংসের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে এবং এখন ফিলিস্তিনে এটি দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে মেটা এবং এক্সের মতো কোম্পানিগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্বল গোষ্ঠীকে অবমাননা করা বক্তৃতাকে প্রচার করেছে। এটি পরিস্থিতিকে শারীরিক সহিংসতার দিকে নিয়ে যায়।

২০১৮ সালে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিআই ইনকের সঙ্গে আইসিই মিলে ‘স্মার্টলিংক’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করে। সরকার বলছে, এটি কারাগারে রাখার চেয়ে মানবিক উপায়। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা দেখিয়েছে, এই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন মুখের ছবি, কণ্ঠস্বর, চিকিৎসাসংক্রান্ত তথ্য, এমনকি গর্ভধারণ ও সন্তানের জন্ম–সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে। অর্থাৎ এটি শুধু নজরদারি নয়, বরং ব্যক্তিগত গোপনীয়তার জন্যও হুমকি।

এ ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের সময় অভিবাসীদের ডিএনএ সংগ্রহ শুরু হয়। এটি এখনো চালু আছে। সরকার দাবি করে, এই ডিএনএর তথ্য ভবিষ্যতে অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ তদন্তে সাহায্য করবে। কিন্তু সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অভিবাসীরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের তুলনায় কম অপরাধ করেন। তবু তাঁদের প্রতি সরকার কঠোর নজরদারি বজায় রাখছে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁদের চলাফেরা ও ব্যক্তিগত জীবন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসননীতিতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। ক্ষমতায় ফিরে তিনি দ্রুত তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন শুরু করেছেন এবং ইতিমধ্যে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এটি অভিবাসননীতিকে আগের চেয়ে আরও কঠোর করে তুলছে।

নতুন আদেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল করা, স্কুল ও গির্জার মতো নিরাপদ স্থানগুলোয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের অভিযান চালানো, যেসব নাগরিক অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানাবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া, অভিবাসীদের আটকে না রেখে জামিনে মুক্তির যে ব্যবস্থা ছিল তা বন্ধ করা, আশ্রয়প্রার্থী অভিবাসীদের আবেদন গ্রহণ পুরোপুরি বাতিল করা এবং অনথিভুক্ত অভিবাসীদের দ্রুত বিতাড়নের (ডিপোর্টেশন) প্রক্রিয়া আরও কঠোর করা।

ট্রাম্পের এসব নির্বাহী আদেশ আইনিভাবে চ্যালেঞ্জ করা সম্ভব। তবে আদালতে যেন এসব আদেশ সহজে বাতিল না হয়, তাই তিনি ঘৃণামূলক বক্তব্যকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন। এ ক্ষেত্রে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তারা মুক্ত মতপ্রকাশের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যকে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য করে তুলছে, যাতে ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসননীতিগুলো জনসমর্থন পায় এবং আইনি বাধার মুখে না পড়ে।

যখন ক্ষমতাধরেরা ‘মুক্ত মতপ্রকাশ’-এর একপেশে ব্যবহার করেন, তখন তা সেন্সরশিপ, দমনপীড়ন এবং ধ্বংসের হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। ২০১৭ সালে মিয়ানমারে এবং এখন ফিলিস্তিনে এটি দেখা গেছে। এ ক্ষেত্রে মেটা এবং এক্সের মতো কোম্পানিগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্বল গোষ্ঠীকে অবমাননা করা বক্তৃতাকে প্রচার করেছে। এটি পরিস্থিতিকে শারীরিক সহিংসতার দিকে নিয়ে যায়।

একটি উগ্র রাজনৈতিক পরিবেশ এবং করপোরেট প্রযুক্তি যখন অভিবাসনবিরোধী, বর্ণবৈষম্য, নারীবিরোধী, এলজিবিটিকিউ ও মুসলিমবিরোধী বক্তৃতাকে সমর্থন করে, তখন তা আগামী বছরের মধ্যে এক বিস্ফোরক জনমত তৈরি করবে।

এ কারণে মেটা এবং এক্স এখন সঠিকভাবে বিষয়গুলো মডারেট (নিয়ন্ত্রণ) না করে বরং ট্রাম্পকে এমন শক্তি দিচ্ছে, যা কিনা স্প্রিংফিল্ড, ওহাইওতে দেখা গেছে। সেখানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অভিবাসনবিরোধী আন্দোলনকে তীব্র করে তুলেছিল।

এ সমস্যার সমাধান শুধু মিডিয়া সাক্ষরতার মাধ্যমে ফেসবুক বা এক্সের মতো প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া তথ্য মোকাবিলা করার বিষয় নয়। সত্য-উত্তর ও সাক্ষরতা-উত্তর বিশ্বে যে ভাষ্যে বেশি ‘লাইক’ বা ‘শেয়ার’ হয়, তা অন্তত ব্যবহারকারীদের জন্য বাস্তবতা হয়ে ওঠে।

ডেমোক্র্যাটরা নব্য উদার নীতির মাধ্যমে একধরনের বাজারনীতি সমর্থন করেছে, যা ব্রোলিগার্ক শ্রেণির (বিশ্বের ধনী ও ক্ষমতাশালী গোষ্ঠী) উত্থান ঘটিয়েছে। এই ব্রোলিগার্ক শ্রেণি তাদের শক্তি অর্জন করেছে ঔপনিবেশিক তথ্য দখলের মাধ্যমে। যদিও ট্রাম্প এবং তার সমর্থকদের দায়ী করা সহজ, তবু মনে রাখতে হবে, ডেমোক্র্যাটদের নীতিই এ পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে।

এখন দুই দলের পক্ষ থেকেই অভিবাসীদের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার জন্য কোনো কার্যকর রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই। তাই প্রতিরোধের উদ্যোগ স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু হতে হবে। এই প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় আদালতে অবৈধ বহিষ্কারের বিরুদ্ধে লড়াই, মিডিয়ার মাধ্যমে ভুল তথ্য প্রতিরোধ এবং স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সিভিক সংগঠনগুলোর মধ্যে সম্পর্ক শক্তিশালী করা গুরুত্বপূর্ণ।

আল–জাজিরা থেকে নেওয়া, ইংরেজি থেকে সংক্ষিপ্ত আকারে অনূদিত

উলিসেস এ মেহিয়াস সানিও ওসওয়েগোর যোগাযোগ অধ্যয়নের অধ্যাপক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: নজরদ র র জন য স র মত ক ষমত ব যবস সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান

জাতিসংঘের মুক্তচিন্তা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার আইরিন খান বলেছেন, ‘আমাদের যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে, তার একটি হলো ঠিক এই মুহূর্তে বাংলাদেশ একটি স্বাভাবিক গণতন্ত্রের দেশ নয়। এখানে গণতন্ত্র চলছে না। কার্যত এটা পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে।’

টেক গ্লোবাল ইনস্টিটিউট (টিজিআই) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে আইরিন খান এ কথা বলেন। বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে গত বুধবার ‘আইন থেকে অধিকার: বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণে ডিজিটাল স্বাধীনতার সুরক্ষা’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। গতকাল রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ওয়েবিনারে বিদ্যমান ও নতুন সাইবার আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া এবং নাগরিকদের ওপর নজরদারিসহ ডিজিটাল সুশাসন-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ও উদ্বেগ নিয়ে আলোচনা হয়। টিজিআই–এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে নজরদারি সরঞ্জাম কেনার জন্য ১৯ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় করেছে।

ওয়েবিনারে সূচনা বক্তব্য দেন টিজিআই–এর নির্বাহী পরিচালক সাবহানাজ রশীদ দিয়া। গত বছরের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে বেশ কিছু সংস্কার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সাবহানাজ রশীদ বলেন, ‘আমরা দেখেছি, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো বিষয়গুলোর ব্যাপারে কিছু উল্লেখযোগ্য তদন্ত, কমিশন ও প্রক্রিয়া করা হয়েছে। কিন্তু একই সঙ্গে আমরা নির্বিচার গ্রেপ্তার হতেও দেখেছি।’

টিজিআই–এর নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। অতীতে আমাদের বিশ্লেষণে আমরা দেখেছি, এই আইন বাংলাদেশে নজরদারির সবচেয়ে সহায়ক এবং একই সঙ্গে এটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করেছে।’

আলোচনায় বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পরিস্থিতি ও নিরাপত্তা খাতের বিষয়গুলো নিয়ে আইরিন খান বলেন, ‘আমাদের একটি অন্তর্বর্তী সরকার আছে, যার কর্তৃত্ব সীমিত। আমাদের একটি নিরাপত্তা খাত আছে; এই একটি মাত্র খাতে অভ্যুত্থান ও পরিবর্তনের কোনো প্রভাব পড়েনি। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা খাতে সংস্কার নিশ্চিত করতে আমরা কী করতে পারি?’

জাতিসংঘের বিশেষ এই র‍্যাপোর্টিয়ার বলেন, ‘এই রূপান্তর বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা খাতকেই সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে হবে (বর্তমান সরকারকে)। এখনো তাদের কাছে সব ধরনের (নজরদারি) সরঞ্জাম রয়েছে। আর সে কারণে পরবর্তী সরকারের নেতৃত্ব কে দেবে, তা নির্ধারণে অন্য সবার চেয়ে তাদের বাড়তি সুবিধা রয়েছে।’

পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ডিজিটাল পরিসরে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় বর্তমান সরকার কী করতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনায় আইরিন খান বলেন, ‘ডিজিটাল নিয়ে ভাবুন। আমি মনে করি না, সরকার তা করছে। তবে অন্য সবাই ডিজিটাল নিয়ে ভাবছে। তাই সরকারের ডিজিটাল নিয়ে এবং ডিজিটাল পরিসরে কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে ভাবা দরকার। (ইন্টারনেট) কোম্পানিগুলোকে ডাকুন, তাদের সঙ্গে কথা বলুন এবং ডিজিটাল পরিসর কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা মানুষকে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকেও বুঝতে দিন।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিনের প্রোগ্রাম অফিসার ডায়নাহ ফন ডার গেস্ট বলেন, ‘আমি মনে করি, নজরদারি নিজে থেকে অবৈধ নয়। সর্বত্র রাষ্ট্রগুলোর জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধের তদন্ত করা এবং নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু নজরদারি যখন ব্যাপক, অস্বচ্ছ ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যায়, তখন তা একটি বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করে।’

ওয়েবিনারে বলা হয়, বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ডিজিটাল স্বাধীনতা যেমন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, তথ্যে প্রবেশাধিকার এবং অনলাইনে নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি জরুরি হয়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে সাইবার আইন ও এর প্রয়োগের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ; ডিজিটাল পরিসরে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা এবং মানুষের অধিকার সুরক্ষায় সংস্কারের সম্ভাবনা নিয়ে এতে আলোচনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওয়েবসাইটের কুকিজ সংগ্রহের অনুরোধ ভালো না খারাপ, নিরাপত্তাঝুঁকি কতটা
  • বাংলাদেশ পরিবর্তনের মধ্যে রয়েছে: আইরিন খান
  • কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি