নোবিপ্রবির কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিল ছাত্রশিবির
Published: 15th, February 2025 GMT
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করেছে শাখা ছাত্রশিবির।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী জেলা শহরের পৌর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বিকন অব ব্রিলিয়ান্স’ শীর্ষক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ দুই শিক্ষাবর্ষের প্রত্যেকটি বিভাগের প্রথম তিনজন মেধাবী ও অনুষদগুলোতে সেরা স্থান অধিকারী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
ছাত্রশিবিরের নোবিপ্রবি শাখার সভাপতি আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সৈকতের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মুজাম্মেল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী নোয়াখালী সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ডা.
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধান বক্তা অধ্যাপক মুজাম্মেল হোসেন বলেন, “আপনাদের এ সফলতার পিছনে আপনাদের পিতা-মাতার অবদান অনেক। আপনাদের মেধা ও প্রজ্ঞাকে যদি না লাগান, আপনাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। সবাই যদি সবার জায়গা থেকে জবাবদিহি করে, তাহলে দেশ কখনো মচকাবে না।”
তিনি বলেন, “আমাদের সম্পদ কম কিন্তু চাহিদা বেশি। আমাদের মধ্য থেকে বৈষম্য এখনো যায়নি। আপনারা চাইলেই এ বৈষম্য দূর হবে। নৈতিকতা সম্পন্ন হলে আপনারা মচকালেও ভেঙে পড়বেন না।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুর রহমান আজাদ বলেন, “আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় নীতি নৈতিকতার বিষয়গুলো শিখানো হয় না। বাংলাদেশে আমরা যে শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা করি, তা আমাদের জন্য যথোপযুক্ত নয়। শিক্ষক নিয়োগেও রয়েছে দলীয়করণ। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে কোন দেশেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় না। আমাদের এ সংকট থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি।”
তিনি বলেন, “এগুলো আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সমস্যা। আমরা চাই যারা আজকে সামনে বসে আছেন আপনারা ভালো সিভিল সার্ভিস ক্যাডার হন বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হন। আপনারাই আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের হাল ধরবেন, ইনশাআল্লাহ।”
অনুষ্ঠান শেষে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে সংবর্ধনা ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করা হয়।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষ ব যবস থ আপন দ র আম দ র ইসল ম আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’