ড্যাব নেতা বাবা ও মামার ইচ্ছে পূরণে হেলিকপ্টার ও পালকিতে নববধূ এল বাড়িতে
Published: 15th, February 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শখ পূরণ করতে শুক্রবার হেলিকপ্টারে ও পালকিকে চড়িয়ে নববধূকে বাড়িতে আনলেন অভিষেক রায় প্রীতম নামে এক বর। এ সময় হেলিকপ্টার দেখতে শতশত লোক ভিড় জমান।
বর অভিষেক রায় প্রীতম পেশায় একজন চার্টাড একাউনটেন্টেড। তিনি বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) নেতা ডা.
নববধূ শ্রেয়া সাহা প্রমি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা পংকজ কুমার সাহা ও সুজলা রানী সাহার মেয়ে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কনের বাড়িতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
প্রীতম জানান, বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী হেলিকপ্টারে ও ছোট মামা প্রশান্ত সাহার ইচ্ছে অনুযায়ী পালকিতে করে নববধূকে বাড়ি আনা হয়েছে। আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিলেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
কনে শ্রেয়া সাহা প্রমি বলেন, ‘এমন আয়োজনের জন্য আমি শ্বশুর বাড়ির লোকদের কাছে কৃতজ্ঞ। এর আগে আমি কখনও পালকিতে ও হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করিনি। তাই আমার বেশ ভাল লেগেছে। আজকের দিনটি সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি সবার কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।’
বরের বাবা ড্যাব নেতা ডা. পিবি রায় সুপ্রিয় বলেন, ‘আমার ইচ্ছে ও স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টারে করে ছেলের বউকে আনা। সেই ইচ্ছা ও স্বপ্ন থেকেই বধূবরণের জন্যে এই আয়োজন করেছি।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য়
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’