যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ভিত্তিক টিভি চ্যানেল ‘এটিভি ইউএসএ’র ‘বাংলাদেশ ঘোষণা’ নামে একটি আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর লা ভিঞ্চি হোটেলে। এই অনুষ্ঠানে মূলত এটিভি ইউএসএ’র উদ্যোগে বাংলাদেশ-আমেরিকার কিছু যৌথ ইভেন্ট ও আশা মাল্টিমিডিয়ার শুভ যাত্রা ঘোষণা করা হয়।

‘বাংলাদেশ ঘোষণা’ এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন এটিভি ইউএসের এটিভি ইউএসএ’র কর্ণধার দম্পতি আকাশ রহমান ও এশা রহমান।  শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন ফাতেমা তুজ জোহরা, হামিন আহমেদ, রেজানুর রহমান, রিজিয়া পারভীন, ফাহমিদা নবী, কানিজ আলমাস খান, রুনা খান, সাদিয়া জাহান প্রভা, সিফাত তাহসিন, নিরব, ধ্রুব গুহ, চয়নিকা চৌধুরী, ফ্যাশন কোরিওগ্রাফার পিয়াল হোসেনসহ অনেকেই। 

ওই ঘোষণার মূল ফোকাসে ছিল রিয়েলিটি শোয়ের লোগো উন্মোচন।  ‘বিশ্বজুড়ে বাংলা গান’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে এটিভি ইউএসএ  আয়োজন করছে  গানের এই রিয়েলিটি শোটির। শনিবারের সেই আয়োজনে উপস্থিত বিশিষ্ট শিল্পী ও গুণীজনদের অংশগ্রহণে  আয়োজনটির লোগো উন্মোচনের মাধ্যমে রিয়েলিটি শোয়ের যাত্রা সূচনা করা হয়।  রিয়েলিটি শোয়ের কো-অর্ডিনেটর ও অন্যতম বিচারক রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ড.

অণিমা রায় আয়োজনটি নিয়ে বিস্তারিত জানান।

অনুষ্ঠানে নিজের বক্তব্যে ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, “বাংলা ভাষার জন্য অনেকেই কাতর। চিন, জাপানসহ অনেক ভাষার মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে তার বাংলা গান তো বটেই নজরুলের গান তারা অনেক পছন্দ করেন। এমন একটি সময় বাংলা গান নিয়ে এটিভি ইউএসএ আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘বিশ্বজুড়ে বাংলা গান’। তাদের এ জন্য শুভ কামনা। আমার বিশ্বাস, প্লানিংটা ঠিক হলে এই আয়োজন চমকারভাবে হবে।”

হামিন আহমেদ বলেন, ‘আমার মনে হয়, বিদেশে থেকে এমন একটি টিভির গান নিয়ে যে ভাবনাচিন্তা যেটা আমাকে মুগ্ধ করছে। কারণ, এর আগে আমরা দেখে এসেছি রিয়েলিটি শো সাধারণত একটি শহর বা দেশের সংগীত নিয়েই হয়। কিন্তু বিশ্বজুড়ে বাংলা গান নিয়ে মনে হয় এটা প্রথম। আমি মনে করি, এত করে বাংলা গানের প্রচার, প্রসার ও বাংলা গানের প্রতি যাদের আগ্রহ আছে তারা বাংলা গান ধারণ করবে।’

বর্ণাঢ্য এই আয়োজনটি উপস্থাপনায় ছিলেন সাংবাদিক নাজনীন মুন্নি। 

অনুষ্ঠানের আয়োজন প্রসঙ্গে এটিভি ইউএসএ’র কর্ণধার দম্পতি আকাশ রহমান ও এশা রহমান বলেন, ‘আমরা চাইলেই বিদেশের মাটিতেই এই ঘোষণা অনুষ্ঠান করতে পারতাম। কিন্তু দেশের মানুষকে নিয়ে, দেশের মানুষের সম্পৃক্ততা নিয়েই এই আয়োজনটি আমরা শুরু করতে চাই। আমরা কৃতজ্ঞ দেশের শিল্পী-সাংবাদিকদের প্রতি যে তারা আমাদের এই শুভ সূচনালগ্নে হাজির হয়েছেন।’

 এই আয়োজনে পরবর্তীতে আমেরিকা ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে ‘আমেরিকান কারি অ্যাওয়ার্ড’র ঘোষণা অনুষ্ঠিত হয়। আমেরিকান বাংলাদেশি প্রখ্যাত শেফ খলিলুর রহমান ও এটিভি ইউএসএ’র কর্ণধার আকাশ রহমানের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

এছাড়া  আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাওয়া ক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য এটিভি ইউএসএ আইকনিক সেলিব্রেশন নাইট অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ড-এর বিস্তারিত জানানো হয়।

অনুষ্ঠানটি শেষ হয় আশা মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত প্রথম টেলিফিল্ম ‘ফাঁদের প্রেমে’র প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।  এই টেলিফিল্মটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন তানভীর তারেক। অভিনয়ে ছিলেন সাঈদ বাবু, সিফাত তাহসিন, আকাশ রহমানসহ অনেকে। এই প্রিমিয়ারের মাধ্যমেই আশা মাল্টিমিডিয়ার শুভ যাত্রা ঘোষণা করা হয়। এবং একই সাথে তাঁরা ঘোষণা করেন নিয়মিত চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি, ফিকশন প্রযোজনা করার।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ ম ন আহম দ অন ষ ঠ ন আম র ক

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ