Prothomalo:
2025-11-03@20:05:49 GMT

মালিতে সোনার খনি ধসে নিহত ৪৮

Published: 16th, February 2025 GMT

মালির পশ্চিমাঞ্চলে গতকাল শনিবার একটি সোনার খনি ধসে অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

আফ্রিকার সবচেয়ে বেশি সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি মালি। দেশটিতে প্রায়ই খনিতে ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। মালিতে অবৈধ অনেক সোনার খনি রয়েছে। গতকাল ধসে পড়া খনিটিও অবৈধ। সেটি অনেক আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

মালিতে অবৈধ খনি থেকে সোনা উত্তোলন নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি মালি, যেখানে মানুষ কোনো ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়াই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে খনি থেকে সোনা সংগ্রহের কাজ করেন।

গতকালের ধস নিয়ে পুলিশের একটি সূত্র বলেছে, ‘আজ স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খনিতে ধস নামে। সেখানে ৪৮ জন মারা গেছেন। পানিতে পড়ে কারও কারও মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন নারীও আছেন। ওই নারীর পিঠে তাঁর ছোট্ট শিশুটিও বাঁধা ছিল।’  

স্থানীয় এক কর্মকর্তাও খনিধসের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ‘কেনিয়েবা গোল্ড মাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ ৪৮ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।

সেখানে এখনো উদ্ধারকাজ চলছে বলে এএফপিকে জানিয়েছেন একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রধান।

অন্য একাধিক সূত্র এএফপিকে বলেছে, গতকাল যে খনিতে ধস নেমেছে, সেটি পরিত্যক্ত ছিল। চীনের একটি কোম্পানি একসময় খনিটি পরিচালনা করত।

আরও পড়ুনমালিতে সোনার খনিতে সুড়ঙ্গধসে ৭৩ জন নিহত২৪ জানুয়ারি ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র একট গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২০, আহত তিন শতাধিক

উত্তর আফগানিস্তানে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া প্রায় ৩২০ জন আহত হয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য  জানিয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফাত জামান আজ সোমবার এক ভিডিও বার্তায় বলেন, বালখ এবং সামাঙ্গান প্রদেশে প্রাথমিকভাবে নিহত ও আহতের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ভূমি অফিসকে আস্থার প্রতিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে: সিনিয়র সচিব

ফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৯

ক্ষতি প্রত্যক্ষকারী এএফপির সাংবাদিকের মতে, ভূমিকম্পে ১৫ শতকের স্মৃতিস্তম্ভ মাজার-ই-শরিফের নীল মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আফগানিস্তানের খুলম থেকে ২২ কিলোমিটার (১৪ মাইল) পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ২৮ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় সময় রাত ১২ টা ৫৯ মিনিটে এটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় বলেছে, উদ্ধার ও জরুরি সহায়তা দলগুলো বালখ এবং সামাঙ্গান প্রদেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছেছে। আহতদের স্থানান্তর ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তাসহ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ভূমিকম্পে মাজার-ই-শরিফের নীল মসজিদ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এএফপি জানিয়েছে, অলঙ্কৃত কাঠামোর টুকরো, বিশেষ করে এর একটি মিনার ভেঙে মাটিতে পড়ে গেছে।

শতাব্দী প্রাচীন এই স্থানটি আফগানিস্তানের সবচেয়ে সম্মানিত ধর্মীয় নিদর্শনগুলোর মধ্যে একটি এবং ইসলামিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবের সময় একটি প্রধান সমাবেশস্থল। এটি দেশটির কয়েকটি পর্যটন স্থানের মধ্যে একটি।

রাজধানী কাবুল এবং আফগানিস্তানের আরো কয়েকটি প্রদেশেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাহাড় থেকে পাথর পড়ার কারণে কাবুলের সঙ্গে মাজার-ই-শরিফের সংযোগকারী একটি প্রধান মহাসড়ক কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তবে পরে রাস্তাটি পুনরায় খুলে দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তান ধারাবাহিকভাবে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে। অর্থনৈতিক সংকটে থাকা দেশটি প্রায়শই এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

গত ৩১ আগস্ট পাকিস্তান সীমান্তের কাছে পূর্ব আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। তালেবান সরকারের মতে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প এবং তার পরে শক্তিশালী আফটারশকে কমপক্ষে চার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২০, আহত তিন শতাধিক