‘সংগঠক’ হিসেবে তামিমের আত্মপ্রকাশ
Published: 16th, February 2025 GMT
তামিম ইকবালের ক্রিকেটার পরিচয় এখন কেবল টিকে আছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। সেটাও দুই টুর্নামেন্টে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও বিপিএলে। আরো অন্তত দুইটি আসর নিজেকে ২২ গজে রাখতে চান তামিম।
তবে গুঞ্জন ঢালাপালা মেলতে শুরু করেছে, তামিম হতে যাচ্ছেন পরবর্তী বোর্ড সভাপতি! রাজনীতিতে তামিমের নাম লিখানোর সম্ভাবনা নেই। তামিম থাকতে চান ক্রিকেটের সঙ্গেই। ক্রিকেট বোর্ডের নীতি নির্ধারক পদে যেতে হলে আগামী নির্বাচনে তাকে অংশ নিতে হবে। সেজন্য হতে হবে কাউন্সিলর। সেই পরিকল্পনায় তামিম একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে।
কারণ সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তামিম। প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার ডিভিশনে উঠে আসা গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের একাংশের মালিকানা কিনেছেন তামিম। তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বিপিএলের দল ফরচুন বরিশালের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
আরো পড়ুন:
চার্টার্ড বিমানে শিরোপা নিয়ে বরিশালে তামিমরা
চারে এসে সফল শান্ত-হৃদয়
গুলশানের এই ক্লাবটির মালিকানা ছিল বেক্সিমকো গ্রুপের। সরকার পতন এবং পরিবর্তনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের দল চালানোর অবস্থাতে নেই।
বিপিএলের ফাইনালের পর সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড সভাপতি হওয়ার প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, “ওটা দেখা যাক…।” তামিম যে একদিন ক্রিকেট প্রশাসনে কাজ করতে চান, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ দায়িত্বে আসার ইচ্ছে তার আছে, নানাভাবে তা নানা সময়েই বুঝিয়েছেন। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মালিকানা কেনার মাধ্যমে সেই সম্ভাবনা আরো জোর পেল। সেক্ষেত্রে এবারের ঢাকা লিগই হতে যাচ্ছে তামিমের শেষ পেশাদার ক্রিকেটের পথচলা। আগস্টে নির্বাচনে অংশ নিলে তামিমকে আর পাওয়া যাবে না ২২ গজে।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন তাঁরা।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেন। এ ছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করার খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে মিছিল করছিলেন বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করা হয়। বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী।
এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’ ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’ এমন স্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, আসলাম চৌধুরী দলের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের রোষানলে পড়ে কারাবন্দী হন। দীর্ঘ সময় তিনি জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। অথচ এখন সুসময়ে দল তাঁকে বঞ্চিত করছে। তাঁরা দলের এ সিদ্ধান্ত মানেন না। তাই প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালীন প্রথম আলোকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। তাঁরা যে যাঁর জায়গা থেকে মহাসড়কে উঠে প্রতিবাদ শুরু করেন। তাঁরা অন্তত সীতাকুণ্ডের ৩০টি স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
ঘোষিত প্রার্থী কাজী মুহাম্মদ সালাউদ্দিন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ছোট ভাই। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, দলের নীতিনির্ধারণী ফোরাম তাঁকে যোগ্য মনে করেছেন বিধায় তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে। তিনি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করতে চান। এর আগে ২০১৪ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন।
ফৌজদারহাট পুলিশ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের মাথা, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, কদমরসুল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ রয়েছে। ফলে উভয় দিকে যান চলাচল বন্ধ। পুলিশ বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।