তামিম ইকবালের ক্রিকেটার পরিচয় এখন কেবল টিকে আছে ঘরোয়া ক্রিকেটে। সেটাও দুই টুর্নামেন্টে, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ও বিপিএলে। আরো অন্তত দুইটি আসর নিজেকে ২২ গজে রাখতে চান তামিম।

তবে গুঞ্জন ঢালাপালা মেলতে শুরু করেছে, তামিম হতে যাচ্ছেন পরবর্তী বোর্ড সভাপতি! রাজনীতিতে তামিমের নাম লিখানোর সম্ভাবনা নেই। তামিম থাকতে চান ক্রিকেটের সঙ্গেই। ক্রিকেট বোর্ডের নীতি নির্ধারক পদে যেতে হলে আগামী নির্বাচনে তাকে অংশ নিতে হবে। সেজন্য হতে হবে কাউন্সিলর। সেই পরিকল্পনায় তামিম একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে।

কারণ সংগঠক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তামিম। প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার ডিভিশনে উঠে আসা গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের একাংশের মালিকানা কিনেছেন তামিম। তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন বিপিএলের দল ফরচুন বরিশালের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।

আরো পড়ুন:

চার্টার্ড বিমানে শিরোপা নিয়ে বরিশালে তামিমরা

চারে এসে সফল শান্ত-হৃদয়

গুলশানের এই ক্লাবটির মালিকানা ছিল বেক্সিমকো গ্রুপের। সরকার পতন এবং পরিবর্তনের পর বেক্সিমকো গ্রুপের দল চালানোর অবস্থাতে নেই।

বিপিএলের ফাইনালের পর সংবাদ সম্মেলনে বোর্ড সভাপতি হওয়ার প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, “ওটা দেখা যাক…।” তামিম যে একদিন ক্রিকেট প্রশাসনে কাজ করতে চান, বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ দায়িত্বে আসার ইচ্ছে তার আছে, নানাভাবে তা নানা সময়েই বুঝিয়েছেন। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মালিকানা কেনার মাধ‌্যমে সেই সম্ভাবনা আরো জোর পেল। সেক্ষেত্রে এবারের ঢাকা লিগই হতে যাচ্ছে তামিমের শেষ পেশাদার ক্রিকেটের পথচলা। আগস্টে নির্বাচনে অংশ নিলে তামিমকে আর পাওয়া যাবে না ২২ গজে।

ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ