চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির খেলা দেখুন টফিতে
Published: 16th, February 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রিকেট উন্মাদনার পারদও তুঙ্গে। ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম প্রতীক্ষিত এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে উত্তেজনার যেন কোনো শেষ নেই। আর এই উন্মাদনাকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল এন্টারটেইনমেন্ট প্ল্যাটফর্ম টফি পুরো টুর্নামেন্ট লাইভ স্ট্রিমিং করতে যাচ্ছে। বাসায় থাকুন বা বাইরে, এমনকি অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকলেও এখন বিরামহীনভাবে সরাসরি ম্যাচ উপভোগ করা যাবে শুধুমাত্র টফিতে।
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে এই ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। দুপুরের দিকে শুরু হতে যাওয়া এই ম্যাচগুলোর জন্য টফি নিরবচ্ছিন্ন লাইভ স্ট্রিমিং নিশ্চিত করবে, যেন কোনো দর্শক খেলার একটি মুহূর্তও মিস না করেন। কেবল মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে টফি সাবস্ক্রাইব করুন, আর যেকোনো জায়গা থেকে উপভোগ করুন পুরো টুর্নামেন্ট। প্রথম বল থেকে শুরু করে শেষ ওভার পর্যন্ত, যদি ফোনে থাকে টফি তাহলে খেলার কোনো অংশই মিস করতে হবে না ক্রিকেটপ্রেমীদের।
পুরো বিষয়টিকে আরো সহজ ও সাশ্রয়ী করে তুলতে বাংলালিংক ও অন্যান্য অপারেটর ব্যবহারকারীদের জন্য বেশ কয়েকরকম সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান নিয়ে এসেছে টফি। পুরো টুর্নামেন্ট উপভোগ করতে মাত্র ৯৯ টাকা সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বিষয়টিকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক করে তুলতে এতে বিকাশ, ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্টের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাংলালিংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য ক্রিকেট কেবল একটি খেলা নয়; এটি বিশাল এক উৎসব। টফিতে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, ক্রিকেটপ্রেমীরা যে যেখানেই থাকুক না কেন, তারা যেন এই ক্রিকেট উৎসবের একটি রোমাঞ্চকর মুহূর্তও মিস না করেন। আমরা বাংলাদেশের সব ক্রিকেটপ্রেমীর জন্য নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চ-মানসম্পন্ন স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
টুর্নামেন্ট আরো এগিয়ে আসার সাথে সাথে উত্তেজনার পারদ যেন ক্রমশ বাড়ছে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এ উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে তুলতে টফি আয়োজন করবে প্রি-ম্যাচ শো, মিড-ম্যাচ কুইজ ও ম্যাচ পরবর্তী বিশ্লেষণ। এই বছর ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ গুনছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা! আর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির টানটান উত্তেজনা এখন আপনার হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত টফি। সাবস্ক্রিপশন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে ভিজিট করুন: https://toffeelive.
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য উপভ গ
এছাড়াও পড়ুন:
প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব
পাহাড়ের আঁকাবাঁকা প্রায় দুই কিলোমিটারেরও বেশি উঁচুনিচু ঢালু পথ পাড়ি দিয়ে আলোক শোভাযাত্রা করে করলেন হাজারো খৃষ্ট ভক্ত। মা মারিয়ার আশীর্বাদপ্রাপ্ত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ‘বারোমারি সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্মপল্লি’ তে ছিলো এ বছরের আয়োজন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয় ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব। দুই দিনব্যাপী এই তীর্থোৎসব শেষ হয়েছে গতকাল শুক্রবার জীবন্ত ক্রুশের পথ ও পবিত্র মহাখ্রিষ্টযাগের মধ্যে দিয়ে।
এ উৎসবে শুধু ক্যাথলিক খ্রিষ্টানই নন, অন্য ধর্মাবলম্বীরাও প্রতিবছর অংশ নেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। উৎসবের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত কেভিন এস র্যান্ডেল।
এসময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) তরফদার মাহমুদুর রহমান ও পুলিশ সুপার (এসপি) আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজক কমিটি জানায়, প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবারে এই তীর্থযাত্রার আয়োজন করা হয়। প্রধান পৌরহিত্যকারী ন্যুনসিওকে বরণ, তীর্থের জুবিলী উদজাপন, পুর্নমিলন সংস্কার, পবিত্র খিষ্টযাগ, জপমালার প্রার্থন, আলোক শোভাযাত্রা, সাক্রান্তের আরাধনা, নিরাময় অনুষ্ঠান, ব্যক্তিগত প্রার্থনা ও নিশি জাগরণের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের অনুষ্ঠান শেষ হয়। শুক্রবার সকাল আটটায় জীবন্ত ক্রুশের পথ অতিক্রম এবং সকাল ১০টায় মহাখ্রিষ্টযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এবারের তীর্থোৎসব।
১৯৪২ সালে ৪২ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় বারোমারি সাধু লিওর ধর্মপল্লি। ১৯৯৮ সালে প্রয়াত বিশপ ফ্রান্সিস এ গোমেজ স্থানটিকে ‘ফাতেমা রানীর তীর্থস্থান’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তখন থেকেই প্রতিবছর আয়োজিত হয়ে আসছে এই ধর্মীয় উৎসব। এ বছর প্রায় ৩০-৪০ হাজার দেশি-বিদেশি রোমান ক্যাথলিক তীর্থযাত্রী অংশ নিয়েছেন উৎসবে। সার্বিকভাবে উৎসব এলাকা ছিল আলো, প্রার্থনা ও শান্তির আবহে মোড়ানো।
রংপুর থেকে আসা তীর্থযাত্রী রিপন আরেং বলেন, “সবাই যখন মোমবাতি প্রজ্বলন করে প্রার্থনা করতে করতে পাহাড়ি আকাঁবাঁকা পথ অতিক্রম করছিলেন, তখন পাহাড় আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছিল। তীর্থে আমরা মা মারিয়ার কাছে প্রার্থনা করতে এসেছি।”
চট্টগ্রাম থেকে আসা রীতা নকরেক বলেন, “পুত্রবধূর সন্তান হচ্ছিল না। গতবার মানত করার পর এবার নাতী পেয়েছি। তাই এবার নাতীকে নিয়ে আবার এসেছি।”
গাজীপুর থেকে পরিবারের সঙ্গে আসা শিক্ষার্থী ঝর্ণা আরেং বলেন, “মারিয়ার কাছে এলে মনে একধরনের শান্তি পাই। আমরা প্রার্থনা করি যেন জীবনের দুঃখ-কষ্ট দূর হয়। প্রতিবছর এই সময়টার অপেক্ষায় থাকি।”
শেরপুরের পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই তীর্থযাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকি মুক্ত রাখতে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রেখেছি। পাঁচ শতাধিক পুলিশ পোশাকে এবং সাদা পোশাকে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও র্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও সেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। যে কোন ঝুঁকি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি।”
শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, “উৎসবটি দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থাপনায়। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন দীর্ঘ ১৫ দিন ধরে সহযোগীতা করে আসছে। এবারের তীর্থযাত্রায় সারাদেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের উৎসব পালন করেছে।”
ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের বিশপ পনেন পল কুবি সিএসসি বলেন, “এ উৎসবের মাধ্যমে বিশ্ব মানবতার কল্যাণে প্রার্থনা করা হয়েছে। ধর্মীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এ তীর্থে দেশ-বিদেশের হাজারো মানুষ সমবেত হয়েছেন। তাঁরা দুই দিনব্যাপী তীর্থে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। মা ফাতেমা রানীর কাছে দেশ ও মানবজাতির কল্যাণে প্রার্থনা শেষে যার যার বাড়ি ফিরে যাবেন।”
ঢাকা/তারিকুল/এস