ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক সরোজ মেহেদীর প্রথম গল্পগ্রন্থ মায়াজাল’র মোড়ক উন্মোচন হয়েছে।

শনিবার বিকেলে কবি, কথাসাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. সুমন রহমান বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

এ সময় তিনি লেখককে শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘মায়াজাল’ বইটি পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আরো পড়ুন:

শনিবার বইমেলার সময় পরিবর্তন

বইমেলায় সাদিয়া সুলতানার সপ্তম উপন্যাস ‘উঠল্লু’

অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়াদী উদ্যান অংশে সৃজন প্রকাশনীর সামনে আয়োজিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর শিক্ষক এএফএম মনিরুজ্জামান শিপু, সৈয়দা সাদিয়া মেহজাবিন, মামুন রশিদ, কবি ও প্রকাশ জুননু রাইন, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক একেএম শামসুদ্দিন, লেখক মইনুল ইসলাম, কবি ও কথাসাহিত্যিক সফিকুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক ফরিদুল ইসলাম নির্জন উপস্থিত ছিলেন।

জীবনের নানা ঘটনা, দুঃখ-হাসি-কান্না, সমাজে চলা অনিয়ম-অনাচার কখনো মানবিক বোধে, কখনো ব্যঙ্গাত্মক উপায়ে গল্পে গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক। এ বইয়ের গল্পে প্রচলিত শৃঙ্খল ভেঙে দেওয়ার বিদ্রোহের ডাক যেমন দিয়েছেন, আবার শুনিয়েছেন নতুন দিনের আশার কথা। দেওয়ান আতিকুর রহমানের প্রচ্ছদে সৃজন থেকে প্রকাশিত বইটি বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের ২৮৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। ১৭০ টাকায় বইটি কিনতে পারবেন পাঠকরা।

ঢাকা/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল বইম ল

এছাড়াও পড়ুন:

জামালপুরে সমাজচ্যুতির ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত মাতব্বররা

জামালপুর শহরে সাতটি পরিবারকে সমাজচ্যুত করার ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ভুক্তভোগীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত মাতব্বররা। ঢাকঢোল পিটিয়ে ও মাইকিং করে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দেওয়ার দু’দিন পর রোববার রাতে বসে নতুন সালিশ বৈঠক। এতে সেই মাতব্বররা নিজেদের ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একসঙ্গে বসবাসের অঙ্গীকার করেন। পরে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাতটি পরিবারের বিরুদ্ধে নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে।

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে জামালপুর শহরের দাপুনিয়া পশ্চিমপাড়ায় গত শুক্রবার রাতে বসে সালিশ বৈঠক। এতে ঘোষণা করা হয়, ‘মরহুম আজিজুল হক, ইসমাইল হোসেন মৌলভি, মুনসুর মিয়া, মানিক, জানিক, মজিবর ও নান্নুর পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। এসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কেউ মেলামেশা, লেনদেন বা সামাজিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। এ নিষেধ অমান্যকারীকেও একঘরে করে দেওয়া হবে।’ পরে মাইকে এলাকাজুড়ে তা প্রচার করা হয়। এতে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

পরদিন বিকেলে ইসমাইল হোসেন, মুনসুর মিয়াসহ ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে জামালপুর সদর থানায় অভিযোগ দেন। তারা জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্রভাবশালীরা সালিশ ডেকে একতরফাভাবে মুনসুর মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন। জরিমানার টাকা না দেওয়ায় সাত পরিবারকে সমাজচ্যুতির ঘোষণা দিয়ে একঘরে করে রাখা হয়েছে।

এই অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। রোববার রাত ১০টার দিকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকে এলাকার কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, উভয় পক্ষ এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অঙ্গীকার করেছে। অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ