Samakal:
2025-11-03@16:50:39 GMT

দাম্পত্য জীবনের বিশ্বরেকর্ড

Published: 16th, February 2025 GMT

দাম্পত্য জীবনের বিশ্বরেকর্ড

ভালোবাসা হলো এক চিরন্তন শক্তি যা দূরত্ব, সময় ও যে কোনো পরিস্থিতিকে পাশ কাটিয়ে মানুষকে একত্রে আবদ্ধ করে। ব্রাজিলের মানোয়েল অ্যাঞ্জেলিম ডিনো (১০৫) ও মারিয়া ডি সুজা ডিনোর (১০১) ভালোবাসার কোনো সীমা নেই। তারা একসঙ্গে আছেন অবিশ্বাস্য ৮৪ বছর ৭৭ দিন। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের জন্য তারা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম জীবিত বিবাহিত দম্পতি হিসেবে। তাদের ১০০ জনের বেশি নাতি-নাতনি রয়েছে।

১৯৪০ সালে ব্রাজিলের সেয়ারা প্রদেশের বোয়া ভেন্তুরার এক ছোট্ট চ্যাপেলে তাদের বিয়ে হয়। মানোয়েল জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৯ সালে, আর মারিয়া ১৯২৩ সালে। তারা প্রথম পরিচিত হন ১৯৩৬ সালের দিকে। তবে তখন তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি।  এর পর ১৯৪০ সালের এক আকস্মিক সাক্ষাতে মানোয়েল বুঝতে পারেন, মারিয়াই তাঁর প্রকৃত ভালোবাসা। সেই মুহূর্তে তিনি আর সময় নষ্ট না করে মারিয়াকে প্রেমের প্রস্তাব দেন, আর মারিয়াও সানন্দে তা গ্রহণ করেন। 

তাদর চার হাত এক করতে পেরোতে হয়েছে বহু পথ। কারণ, শুরুতে তাদের প্রেম মেনে নিতে চাননি মারিয়ার মা। মানোয়েল ও মারিয়া তাদের সংসার জীবনে একসঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তাদের ১৩ সন্তান, ৫৫ নাতি-নাতনি, ৫৪ প্রপৌত্র এবং বর্তমানে ১২ জন অষ্টপ্রপৌত্র রয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক

‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।

বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।

এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।

বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
  • সব সিম লক রেখে কিস্তিতে স্মার্টফোন বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে অপারেটররা
  • আগামী বছর নির্বাচনের পর বিশ্ব ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা
  • শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা
  • শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?