পার্বতীপুরের সেই ইউএনওকে রাজশাহী কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি
Published: 16th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা খাতুনকে বদলি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীদের আন্দোলনের মুখে তিনি কার্যালয় ছেড়ে সরকারি বাসভবনে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
স্বেচ্ছাচারিতা ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে ইউএনও ফাতেমা খাতুনের অপসারণের দাবিতে গত বুধবার বেলা তিনটায় উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়। পরে তাঁরা ইউএনও কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা অবস্থান নেন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় কার্যালয় ছাড়েন ইউএনও। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি কার্যালয় না এসে বাসায় বসে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
ইউএনও ফাতেমা খাতুন বলেন, তিনি এখন কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বদলির বিষয়টি জেনেছেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির পার্বতীপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনিয়ম ও দুর্নীতি করার জন্য আমরা রক্ত ঢেলে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করিনি। কোনো অবস্থাতেই স্বৈরাচারের দোসর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। যেখানেই অনিয়ম-দুর্নীতি হবে, সেখানেই আমরা প্রতিবাদ গড়ে তুলব।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনায় নদীতে অবৈধ বালু তোলায় ব্যবহৃত ৭টি খননযন্ত্র ও ১টি বাল্কহেড জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ব্যবহৃত সাতটি খননযন্ত্র ও একটি বাল্কহেড জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পায় উপজেলা প্রশাসন। এরপর বিকেলে ইউএনও রাফে মোহাম্মদ সেখানে অভিযান চালান। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া গেলে সাতটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়।
জব্দ করা খননযন্ত্রগুলো হলো মেসার্স আবির ট্রেডার্স, আবাবিল ড্রেজিং প্রকল্প, সাকিব সাব্বির লোড ড্রেজার, আতিবা আদিবা লোড ড্রেজার, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ড্রেজার, গাউসিয়া লোড ড্রেজার ও জোন শাহ ড্রেজার। এ ছাড়া ‘জিয়া অ্যান্ড সাব্বির এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাল্কহেডও জব্দ করা হয়। এগুলো ভৈরব নৌ থানার জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানে আশুগঞ্জ থানা ও ভৈরব নৌ থানার একটি দল অংশ নেয়।
রাফে মোহাম্মদ বলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন পরিবেশ ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।