ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল মাইক্রোবাস, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা চালকের
Published: 16th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাস দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন মাইক্রোবাসের চালক মোহাম্মদ করিম (৪০)। আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজারগামী একটি ট্রেন ঈদগাঁও বাজার-গোমাতলী রেলক্রসিং অতিক্রমের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ করিমের বাড়ি ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ি এলাকায়। মাইক্রোবাসটি নিয়ে বিয়ের ভাড়ায় যাচ্ছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ঈদগাঁও রেলস্টেশনের মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাইক্রোবাসটি রেললাইনে উঠে আটকে যায়। দূর থেকে ট্রেনের চালক হর্ন দিলেও মাইক্রোবাসটি সরানো যাচ্ছিল না। মাইক্রোতে যাত্রী ছিল না। ট্রেন এসে ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। তবে ধাক্কা লাগার আগমুহূর্তে চালক মাইক্রোবাস থেকে লাফ দেন বলে জানা গেছে। পরে রেললাইন থেকে মাইক্রোবাসটি সরিয়ে আনা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় নুরুল আবছার (৪৫) জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে লোকজনকে আনতে মাইক্রোবাসটি রেললাইন অতিক্রম করে গোমাতলীর দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনের হর্ন শুনে চালক মাইক্রোবাসটি প্রথমে সামনের দিকে নেওয়ার চেষ্টা চালান। তাতে ব্যর্থ হলে পেছনের দিকে নিতে চান। কিন্তু মাইক্রোবাসটি রেললাইনে আটকে ছিল। ততক্ষণে ট্রেন এসে মাইক্রোর পেছনে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা লাগার আগেই চালক মাইক্রো থেকে সরে পড়েন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসল ম ব
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’