কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ রেলস্টেশন এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাস দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন মাইক্রোবাসের চালক মোহাম্মদ করিম (৪০)। আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজারগামী একটি ট্রেন ঈদগাঁও বাজার-গোমাতলী রেলক্রসিং অতিক্রমের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মোহাম্মদ করিমের বাড়ি ইসলামাবাদ ইউনিয়নের খোদাইবাড়ি এলাকায়। মাইক্রোবাসটি নিয়ে বিয়ের ভাড়ায় যাচ্ছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ঈদগাঁও রেলস্টেশনের মাস্টারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাইক্রোবাসটি রেললাইনে উঠে আটকে যায়। দূর থেকে ট্রেনের চালক হর্ন দিলেও মাইক্রোবাসটি সরানো যাচ্ছিল না। মাইক্রোতে যাত্রী ছিল না। ট্রেন এসে ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। তবে ধাক্কা লাগার আগমুহূর্তে চালক মাইক্রোবাস থেকে লাফ দেন বলে জানা গেছে। পরে রেললাইন থেকে মাইক্রোবাসটি সরিয়ে আনা হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় নুরুল আবছার (৪৫) জানান, বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে লোকজনকে আনতে মাইক্রোবাসটি রেললাইন অতিক্রম করে গোমাতলীর দিকে যাচ্ছিল। ট্রেনের হর্ন শুনে চালক মাইক্রোবাসটি প্রথমে সামনের দিকে নেওয়ার চেষ্টা চালান। তাতে ব্যর্থ হলে পেছনের দিকে নিতে চান। কিন্তু মাইক্রোবাসটি রেললাইনে আটকে ছিল। ততক্ষণে ট্রেন এসে মাইক্রোর পেছনে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা লাগার আগেই চালক মাইক্রো থেকে সরে পড়েন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম ব

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ