নতুন পে-কমিশন গঠন, সরকা‌রি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর এবং প্রস্তাবিত মহার্ঘ ভাতার পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে বেতনের সাথে ইন‌ক্রিমেন্টসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দা‌বি দাওয়া দ্রুত বাস্তবায়‌নের আশ্বাস দি‌য়ে‌ছেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকা‌লে নয় দফা দা‌বি নি‌য়ে  সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতারা দেখা কর‌তে গে‌লে এ আশ্বাস দেন তি‌নি।

এর আগে স‌চিবাল‌য়ে কর্মচারী‌দের নয় দফা সম্বলিত লি‌খিত আবেদন স‌চি‌বের হা‌তে তু‌লে দেন পরিষদের সভাপতি মো.

বাদিউল কবীর ও মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

এ সময় তারা নয় দফা দা‌বি নি‌য়ে সি‌নিয়র স‌চি‌বের স‌ঙ্গে আলোচনা ক‌রেন এবং তার জরু‌রি হস্ত‌ক্ষেপ ও সর্বাত্মক সহ‌যো‌গিতা কামনা ক‌রেন।

লি‌খিত আবেদ‌নে বলা হয়, নতুন পে-কমিশন গঠনসহ কর্মচারীদের জন্য অবিলম্বে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা কার্যকর করা এবং প্রস্তাবিত মহার্ঘ ভাতার পরিবর্তে মুদ্রাস্ফীতির সাথে সমন্বয় করে বেতনের সাথে কমপক্ষে ৫টি ইনক্রিমেন্ট দি‌য়ে জিও জারি কর‌তে হ‌বে।

বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মচারীদের জন্য সরকারি অন্যান্য বেসামরিক সংস্থার ন্যায় (উদাহরণ স্বরূপ দুদকের ন্যায়) রেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নসহ ৩০ শতাংশ হারে সচিবালয় ভাতার জন্য দ্রুত আদেশ জারি, ২০১৫ সালের পে-কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী যথা সময়ে পদোন্নতি না হওয়ার কারণে অবিলম্বে পূর্বের ন্যায় টাইম-স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড ব্যবস্থা পুনর্বহাল এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ে কর্মরত সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটরদের জন্য দুটি উচ্চতর গ্রেড এবং অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের জন্য দুটি অগ্রিম ইনক্রিমেন্ট পূর্বের ন্যায় পুনর্বহাল করাসহ বর্তমানে ২০তম গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য প্রতি কর্মদিবসে  তিনশ টাকা হারে টিফিন ভাতার ব্যবস্থা করার দা‌বি জানা‌নো হয়।

অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত প‌রিষ‌দের কথা মন‌যোগ দি‌য়ে শু‌নেন। দাবির যৌক্তিকতা অনুধাবন করে যত দ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।

এ সময় প‌রিষ‌দের নেতা বেলাল হোসেন, মিজানুর রহমান, সোহরাব হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, রহমাতুল্লাহ বাবু, আব্দুল হামিদ, নুরুজ্জামান, কামরুল ইসলাম, মো. আরিফ, মো. ইসমাইল উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ