গাইবান্ধায় এক ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে ভোটারের চেয়ে ভোট বেশি হওয়ায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। সদর উপজেলার ৯ নম্বর খোলাহাটি ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল আউয়াল আরজু।

তিনি বলেন, ভোট গণনা শেষে ভোটারের চেয়ে ব্যালট বেশি পাওয়া যায়। এমন অসঙ্গতি থাকায় ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার খোলাহাটি ২ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল শুরু হয়। 

উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আজাদ মণ্ডল। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু। 

প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন নবী টিটুল। বিশেষ বক্তা ছিলেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

দ্বিতীয় অধিবেশনে শুরু হয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে মোট ভোটার ছিলেন ৪৫৯ জন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন বর্তমান আহ্বায়ক মো.

মোস্তফা কামাল। 

তবে সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গণনার সময় পাওয়া যায় ৪৮৫ ভোট, যা ভোটারের চেয়ে ২৬টি বেশি। অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় পরে কাউন্সিলের ফলাফল স্থগিত করা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ব ন দগঞ জ ন ব এনপ র ক সদর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ