মুন্সীগঞ্জে ফের কবর থেকে খুলি চুরি
Published: 17th, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার পূর্ব বেঁজগাঁও কবরস্থানের ছয়টি কবর থেকে ফের খুলি চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা খুলি চুরি করে। এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে পাঁটটি কবর থেকে খুলি চুরির ঘটনা ঘটে।
পূর্ব বেঁজগাঁও কবরস্থানের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘সোমবার সকালে ছয়টি কবর খোঁড়া অবস্থায় পাওয়া যায়। ওই কবরগুলো থেকে খুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’
শ্রীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাচীর না থাকায় চোর চক্র সহজেই কবরস্থানে ঢুকতে ও বের হতে পারে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা জাদু বিদ্যায় জড়িত, খুলিগুলো তারাই চুরি করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে দুই বার একই কবরস্থান থেকে খুলি চুরির ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই চোর চক্রকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’’
ঢাকা/রতন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গৌরনদী থানার ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা
এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগে গৌরনদী মডেল থানার ওসি ইউনুস মিয়া ও উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। বরিশাল সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করেন গৌরনদীর বাটাজোর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আজাদ সরদারের স্ত্রী সুমা বেগম।
অভিযোগকারীর আইনজীবী নাজিম উদ্দীন আহমেদ পান্না এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে মামলাটি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নারী মামলায় অভিযোগ করেছেন, গত ১১ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্তরা তার (সুমা) শ্বশুরবাড়ির পাকা কবরস্থান ভাঙচুর করে ও দখলের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় বাদী জরুরি সেবা ৯৯৯- এ কল করলে থানার এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। তবে নজরুল ইসলাম ভুক্তভোগী সুমা বেগমসহ মামলার তিনজন সাক্ষীকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ওসি এবং এসআই আটককৃতদের ছেড়ে দিতে সুমা বেগমের কাছে এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা দিকে অপরাগতা প্রকাশ করায় মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন ওসি এবং এসআই। ওইদিন রাত নয়টার পর থানা হেফাজত থেকে বাদী ও মামলার তিনজন সাক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওসি এবং এসআই মামলার বাদী ও তিন সাক্ষীকে দীর্ঘসময় থানায় আটকে রাখার সুযোগে দুর্বৃত্তরা কবরস্থান ভাঙচুর করে দখল করতে পেরেছে। বাদীর দায়ের করা এজাহার থানায় মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। এ ঘটনায় বাদী সুমা বেগম গত ১৩ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ‘ঘুষ দাবির কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। একটি কু-চক্রী মহলের প্ররোচনায় এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।