‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু
Published: 17th, February 2025 GMT
তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে তিস্তা নদী রক্ষায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলার ১১টি স্থানে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে, আজ সকাল ৮টা থেকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করেন তিস্তার পাড়ে।
সরেজমিনে নীলফামারীর তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে দেখা যায়, কর্মসূচিকে ঘিরে বড় বড় প্যান্ডেল করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি সমাবেশের ও অন্যটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনার জন্য মঞ্চ। রাত্রিযাপনের জন্য অসংখ্য তাবু স্থাপন করা রয়েছে। আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য রাতে হাজারো মশাল জ্বালানো হবে সমাবেশ স্থলে।
আরো পড়ুন:
৯ দাবিতে নওগাঁয় এসপি অফিসের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
১৪৪ ধারা জারি করায় অন্যস্থানে বিএনপির সমাবেশ
আয়োজকরা জানান, ২০০৪ সাল থেকে ভারত একতরফাভাবে তিস্তার পানি প্রত্যাহার করায় উত্তরাঞ্চল মরুকরণের মুখে পড়েছে। অপরদিকে, ২৪০ বছরের পুরনো তিস্তা শাসন না করায় নদীর পেট ভরাট হয়ে গেছে। ফলে শুষ্ক মৌসুমে ধূ-ধূ প্রান্তর আর বর্ষায় ভয়াবহ বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে এরইমধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিসাব আদায় ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের এই আন্দোলন। ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে কয়েক লাখ মানুষ তিস্তাপাড়ে সমবেত হবে।”
তিনি আরো বলেন, “তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং তিস্তা পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় সম্মিলিতভাবে করতে হবে।”
ঢাকা/সিথুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’