সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৭৭ বাংলাদেশি ১০৫ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির জোহর রাজ্যে একটি শ্রমিক আবাসন কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জোহর রাজ্যের ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের (জেআইএম) পরিচালক দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, রোববার রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বাতু পাহাত, মুয়ার এবং সেগামাত শাখার জেআইএম এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এবং জোহর জেআইএমের সুলতান ইস্কান্দার ভবনের কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করেন।

বৈধ পাস বা পারমিট ছাড়াই শেয়ার্ড হাউস বন্দোবস্তে বসবাসকারী বিদেশিদের সম্পর্কে জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিচালিত এ অভিযানে মোট ৩২৯ জন অভিবাসীর কাগজপত্র পরীক্ষার পর এদের মধ্য থেকে ৭৭ জন বাংলাদেশি, ১৬ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ, সাতজন ইন্দোনেশিয়ান নারী, দুইজন মিয়ানমারের পুরুষ, দুইজন পাকিস্তানি পুরুষ এবং একজন ভারতীয় পুরুষসহ মোট ১০৫ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বয়স ১৮ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

দাতুক মোহাম্মদ রুশদি মোহাম্মদ দারুস জানান, মালয়েশিয়ায় থাকার জন্য কোনো বৈধ পাস বা পারমিট না থাকার কারণে অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ (আইন ১৫৫) এর ধারা ৬(১)(সি) এর অধীনে অপরাধ করেছেন গ্রেপ্তার অভিবাসীরা।

ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ (আইন ১৫৫) এর ১৫ (১) (গ) ধারার অধীনে অতিরিক্ত সময় ধরে থাকার জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গ্রেপ্তার এই ১০৫ জনকে পন্টিয়ানের পেকান নেনাস ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের পরিচালক আরও বলেন, বৈধ ভ্রমণ নথি, পাস বা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই বিদেশি কর্মী নিয়োগকারী নিয়োগকর্তা এবং মালিকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা সেতুতে ছয় দিনে টোল আদায় ১৭ কোটি টাকা

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি শেষ হয়েছে এক দিন আগেই। এখনো ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় কর্মস্থলে ফিরছে উত্তরাঞ্চলের লাখো মানুষ। তবে, সোমবার (১৬ জুন) কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। 

গত দুই দিনে যমুনা সেতুর ওপর অতিরিক্ত গাড়ির চাপ এবং যানবাহন বিকল ও দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার ফলে যমুনা সেতুর দুই পাশেই যানজট ও ধীর গতির কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঢাকামুখী মানুষদের।

এদিকে, যমুনা সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়ের পরিমাণ। গত ছয় দিনে যমুনা সেতুর ওপর দিয়ে মোট ২ লাখ ৪০ হাজার ১৫২টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৩০০ টাকা।

যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ৯৮৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার ২০০ টাকা।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে যমুনা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এসব তথ্য জানিয়েছেন। 

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ৯৮৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গগামী ১৯ হাজার ১৮৯টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা। ঢাকাগামী ২২ হাজার ৮০০টি যানবাহন পার হয়েছে। এতে টোল আদায় ১ কোটি ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানিয়েছেন, মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে। যমুনা সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যমুনা সেতুর দুই পাশ দিয়ে ৯টি করে মোট ১৮ বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। মোটরসাইকেলের জন্য দুই পাশে দুটি আলাদা বুথ রাখা হয়েছে।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ