খাবার খাওয়ার সময় বাবাকে চাপাতির কোপ, গ্রেপ্তার ছেলে
Published: 17th, February 2025 GMT
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় খাবার খাওয়ার সময় বাবাকে মারধর ও চাপাতি দিয়ে কোপানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে পুলিশ তাকে আদালতে পাঠায়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বাবা মিন্টু আলীর দায়ের করা মামলায় ছেলে সেজান মাহমুদকে (২৪) রোববার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার সময় বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সেজান তার বাবা মিন্টু আলীকে মারধর করেন। এর একপর্যায়ে ঘর থেকে চাপাতি এনে বাবাকে কোপ দেন। তখন চাপাতি হাত থেকে ফসকে তার দাদি নাসরিন বেগমের কোমরে আঘাত করে। এতে তিনি জখম হন। এ ঘটনায় শনিবার মিন্টু আলী বাদি হয়ে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় ছেলে সেজান মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় রোববার বিকেলে সেজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সেজান মাহমুদকে রোববার গ্রেপ্তার করে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’