রেকর্ড মুনাফা করেছে রবি, শেয়ারপ্রতি দেবে দেড় টাকা লভ্যাংশ
Published: 17th, February 2025 GMT
শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকম খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা শেয়ারধারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ২০২৪ সালে সমাপ্ত আর্থিক বছরের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে কোম্পানিটি। তাতে কোম্পানিটির শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা প্রতি শেয়ারের জন্য দেড় টাকা করে লভ্যাংশ পাবেন।
আজ সোমবার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পর্ষদ সভা শেষে রবির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে লভ্যাংশসহ গত বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। তাতে জানানো হয়, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে রবির মুনাফা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। গত বছর শেষে রবি আজিয়াটার মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭০২ কোটি টাকায়। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির মুনাফা ছিল ৩২০ কোটি টাকা। মুনাফা বৃদ্ধি পাওয়ায় লভ্যাংশের পরিমাণও বেড়েছে শেয়ারধারীদের জন্য। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি যেখানে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল, সেখানে গত বছরের জন্য তা বেড়ে ১৫ শতাংশ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রবির করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরির প্রধান মোহাম্মদ শাহেদুল আলম বলেন, গত বছর রাজস্ব আয়ে খুব বেশি প্রবৃদ্ধি না হলেও রেকর্ড মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। এ মুনাফার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল কোম্পানি আর্থিক ব্যবস্থাপনা।
রবির কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ভালো ব্যবসা করতে না পারলে নানাভাবে খরচ কমিয়ে মুনাফা বাড়িয়েছে কোম্পানিটি। যার কারণে রেকর্ড লভ্যাংশও ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে রবির আজকের পর্ষদ সভা ও লভ্যাংশ ঘোষণার খবরকে সামনে রেখে কয়েক দিন ধরে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে কোম্পানিটি। আজ লেনদেন শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে ছিল রবি। আজ কোম্পানিটির ১১ কোটি টাকার সমমূল্যের শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। দিন শেষে রবির শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ২৯ টাকা ৪০ পয়সা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গত বছর র জন য বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি
জুন মাসের মাঝামাঝি আসতেই এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্য জুনে পরিস্থিতি এমন হয়নি। সে বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি ছিল।
গতকাল শনিবার আরও ১৬৯ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম। আরও একজনের মৃত্যুর কথাও বলেছে। এই নিয়ে এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৫ হাজার ৫৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর মারা গেছেন ২৯ জন।
গত বছর এই সময়ে অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ১৯৩ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এই সময়ে ডেঙ্গুতে মারা গিয়েছিলেন ৩৯ জন।
এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯। আর মারা গিয়েছিলেন ১ হাজার ৭০৫ জন। ওই বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত
হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮০২। আর ওই সময়ের মধ্যে মারা গিয়েছিলেন ২৮ জন।
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তিন বছরের মধ্যে এ বছরের জুনে রোগীর সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি রোগী বাড়ছে।
ঢাকা মহানগরে কমঅন্য প্রায় সব বছরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু প্রকোপ প্রথমে ঢাকা শহরে বা দেশের বড় শহরগুলোতে দেখা দেয়। এরপর তা ক্রমান্বয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এ বছর দেখা যাচ্ছে, বেশি রোগী ঢাকা শহরের বাইরে, বিশেষ করে বরিশাল বিভাগে। এর মধ্যে বরগুনা জেলায় রোগী বেশি। দেশের দক্ষিণের এই জেলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬০৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৫০ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক মো. হালিমুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বরগুনা শহরে ডেঙ্গু বেশি হওয়ার তিন কারণ আমরা আপাতত শনাক্ত করতে পেরেছি। পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে কোনো কাজ করেনি। শহরে জলাবদ্ধতা আছে। এ ছাড়া মানুষ বৃষ্টির পানি ধরে রাখে। এগুলো মশার বংশ বৃদ্ধিতে সহায়ক।’