ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালসহ দু’বার নিউজিল্যান্ডের কাছে হারায় তুমুল সমালোচনা চলছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের। এর মধ্যে চাঁছাছোলা মন্তব্যের জন্য পরিচিত বাসিত আলি পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে কটাক্ষ করে পরামর্শ দিয়েছেন, ভারতের কাছ থেকে ওয়ানডে খেলা শিখতে।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিক আগে বিপরীত অবস্থানে উপমহাদেশের দুই ক্রিকেট দল। পাকিস্তান ত্রিদেশীয় সিরিজে তিন ম্যাচে দুটি হেরেছে। আর ভারত ৩-০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে সেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান।

সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজের পারফরম্যান্সে সমালোচনা করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সাবেক এ পাকিস্তানি ব্যাটার বলেন, ‘কোচ আকিভের (জাভেদ) চিন্তাধারা ভালো, কিন্তু তাঁর সঙ্গে থাকা লোকগুলো হলো এই (হাত দিয়ে জিরো দেখান)। আপনাকে জানতে হবে করাচির মতো পিচে কীভাবে রান বানাতে হয়। বোলারকে মোকাবিলা করা জানতে হবে। কিন্তু তারা সেটা পারেনি। অবশ্যই মাথা খাটাতে হবে।’

এর পরই ভারতের উদাহরণ টানেন তিনি, ‘নিউজিল্যান্ডকে ভারতের বিপক্ষে খেলতে দাও, তাহলেই পার্থক্যটা বোঝা যাবে। স্যান্টনার বিরামহীনভাবে ফ্লাইটেড ডেলিভারি দিয়ে গেছেন। কারণ তিনি জানতেন, পাকিস্তানি ব্যাটাররা এগিয়ে এসে তাঁকে মারবেন না। তাঁকে এই ধরনের ফ্লাইট শুভমান, রোহিত, কোহলি, রাহুল এমনকি পান্ডিয়ার বিপক্ষে দিতে বলেন, বল গ্যালারির তৃতীয় তলায় গিয়ে জমা হবে।’

পাকিস্তানের ব্যাটাররা নাকি আগে ব্যাটিং ও রান তাড়ার মেজাজটাও ঠিক ধরতে পারছেন না। ওপেনার ফখর জামানের উদাহরণও দিয়েছেন বাসিত, ‘প্রথমে ব্যাটিং করা এবং রান তাড়া করা, দুটি ভিন্ন বিষয়। যে দুটি ম্যাচে পাকিস্তান রান তাড়া করেছে, সে দুটিতে ফখর ভালো ব্যাট করেছেন। কিন্তু যে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করেছে, সেটায় ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথমে ব্যাটিং করলে তাঁর অন্তত ১৫ থেকে ২০ ওভার উইকেটে থাকা উচিত। তিনি ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আপনি যদি কাভার ড্রাইভ, স্ট্রেইট ড্রাইভ ও পুল শট খেলতে ভালোবাসেন এবং দুটি চার মেরে আউট হয়ে যান, তাহলে দলের ভীষণ ক্ষতি হয়।’

পাকিস্তানের স্পিনারদেরও সমালোচনা করেন তিনি, ‘ভারতীয় স্পিনাররা রান আটকে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা প্রতি বলে উইকেট নেওয়ার বদলে ধারাবাহিকভাবে ভালো বোলিং করে ব্যাটারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু আমাদের (পাকিস্তানি) স্পিনাররা প্রতি বলে উইকেট নেওয়ার চেষ্টা করেন। এটাই পার্থক্য।’ ভারতের কাছ থেকে এসব শেখার পরামর্শও দেন তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ