দু’গ্রুপের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সম্মেলন পণ্ড
Published: 17th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির এড হক কমিটির সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আহ্বায়ক কমিটির বাধার মুখে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত পন্ড হয়ে যায়। পরে এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল অফিসের নিচতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে ‘অফিস দখলমুক্ত করা এবং বিদেশে টাকা পাচার ও খেলাপি ঋণের মাধ্যমে ব্যাংক খাত ধ্বংসকারীদের মুখোশ উন্মোচন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি আশঙ্কা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল জানান, ১৯৫৫ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছে। তবে সম্প্রতি কমিটির কার্যক্রম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানানো হয়েছে।
এদিকে এড হক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড.
সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল অভিযোগ করেন, সংগঠনের গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে অসাংগঠনিক পদ্ধতিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ১৭ মে মনোনয়ন দাখিলের পরদিন ১৮ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা নজিরবিহীন।
সংগঠনের স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে নিরপেক্ষ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এএ
উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
চুক্তি হয়ে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি সাপেক্ষে গোপনীয়তার বিষয়টি প্রকাশ করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনায় যে গোপনীয়তার বিষয়টি ছিল, চুক্তি সই হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি সাপেক্ষে তা প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। তিনি বলেন, চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পর শিগগিরই হয়তো যৌথ বিবৃতি আসবে। তথ্য অধিকারের আলোকে এটা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তোজার সঙ্গে আলাপচারিতায় বাণিজ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। গোলাম মোর্তোজা ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড পেজে ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন। বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, বাণিজ্য চুক্তি কাজে লাগাতে হলে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে এ নিয়ে আত্মসন্তুষ্টির সুযোগ নেই।
গোপনীয়তার বিষয়ে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, বিষয়টি আন্তর্জাতিক রীতিতে নির্দিষ্ট, শুধু তা–ই নয়, স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক ও বিমা চুক্তিতে উপনীত হয়, তখন এই গোপনীয়তার বিষয়টি খুবই স্বাভাবিক। এমনকি দুজন ব্যক্তি সম্পদ হস্তান্তর করলেও এ ধরনের বিষয় থাকে।
শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ‘এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র যেখানে চুক্তির মূল নিয়ামক হিসেবে নিজস্ব নিরাপত্তার কথা বলেছে, সেখানে আলোচনায় গোপনীয়তার শর্ত থাকা অবশ্যম্ভাবী। এর মাধ্যমে দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনো উপাদান থাকলে আমরা সে চুক্তিতে করব না, সেটাই স্বভাবিক বলে মন্তব্য করেন শেখ বশিরউদ্দিন। নিজস্ব স্বার্থ বিসর্জন দেওয়ার সুযোগ নেই। নিজস্ব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিলে সক্ষমতার ঘাটতি হবে। তাতে বাণিজ্য চুক্তি করে লাভ হবে না। স্বল্প মেয়াদে বা দীর্ঘ মেয়াদে যদি আমাদের বাণিজ্য সক্ষমতা হ্রাস পায়, কিংবা আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির কোনো ধরনের ক্ষতি হয়, সেই চুক্তি কোনোভাবেই পালনযোগ্য নয়।’
তবে আলোচনা চলাকালে দুঃখজনকভাবে চুক্তিটি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন শেখ বশিরউদ্দিন। সেখানে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই। যেগুলো দেশের স্বার্থবিরোধী হতে পারত, সেখান থেকে বাংলাদেশ পরিষ্কারভাবে বের হয়ে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র মোটেও বিষয়টি উত্থাপন করেনি। এই বিষয়টি একমুখী। গত বছর বোয়িং ১২টি বিমান বানিয়েছে। সুতরাং এই চুক্তি অনুযায়ী তারা হয়তো ২০৩৭ সালে প্রথম বিমান সরবরাহ করতে পারবে। বরং তাদের আগ্রহ ছিল কৃষিপণ্য নিয়ে। বাংলাদেশ প্রতি ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্যপণ্য আমদানি করে। যুক্তরাষ্ট্রও কৃষিপণ্যের বৃহৎ উৎপাদক। বাংলাদেশ মূলত জ্বালানি ও কৃষিপণ্যের ভিত্তিতে বাণিজ্যঘাটতি কমানোর কথা বলেছে, যেসব পণ্য এমনিতেই বাংলাদেশকে আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি ৬ বিলিয়ন বা ৬০০ কোটি ডলারের মতো। ফলে বাংলাদেশে তুলা, সয়াবিন, ভুট্টা, গমজাতীয় পণ্য আমদানি বাড়িয়ে ২০০ কোটি ডলারের বাণিজ্যঘাটতি কমানোর চেষ্টা করতে পারে।
বোয়িং বিমান খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বিমানের পরিচালনা সক্ষমতা বৃদ্ধি না করে বিমান কিনে তেমন লাভ হবে না। অন্তর্বর্তী সরকার সেই চেষ্টা করছে। তবে বিমানের পক্ষে অতিরিক্ত এক কোটি যাত্রী পরিবহনের সুযোগ আছে। সেই বিবেচনায় ২৫টি বিমান খুব বেশি কিছু নয়। বিমানের পরিচালন সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি আশাবাদী।