ইবির ট্যুরিজম বিভাগের সাথে বিএএসএম এর চুক্তি সম্পন্ন
Published: 17th, February 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটের (বিএএসএম) সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে।
চুক্তি শেষে বিএএসএম এর পক্ষ থেকে বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সিকিউরিটি মার্কেট শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় অনুষদ ভবনে এ চুক্তি ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এছাড়াও অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। সেশন কন্ডাক্টর হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটেরে সাদ্দাম হোসেন খান ও রিজভী আহমেদ।
এদিন বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটিজ মার্কেটেসের প্রতিনিধিরা বিভাগটির সঙ্গে সহোযোগিতামূলক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এরই অংশ হিসেবে একজন নবীন সদস্য সিকিউরিটিজ মার্কেটে প্রবেশ করে কিভাবে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারে, সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এ বিষয়ে মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য বিনিয়োগ শিক্ষার প্রসার করা। সেই লক্ষ্যে ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের কাছে আমাদের ম্যাসেজটা পৌঁছে দিতে এ সেশন। একটা শিক্ষিত বিনিয়োগ বাজার তৈরির লক্ষ্যেই আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরে ঘুরে এ কর্মশালাগুলো করছি। ভবিষ্যতে যেন তারা সিকিউরিটিজ মার্কেট বিজনেসের জন্য ভালোভাবে তৈরি হতে পারে।”
তিনি বলেন, “আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম বিভাগের সঙ্গে এই এমওইউ চুক্তির মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যতে এই বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিনিয়োগ ক্ষেত্রে আর্থিক সাপোর্ট থেকে শুরু সব ধরনের সহায়তা করতে পারব।”
বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ইসলাম বলেন, “শুধু একাডেমিক জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। বর্তমান চ্যালেঞ্জিং বিশ্বে বাঁচতে হলে বাস্তব জ্ঞান দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু দিতে পারে না। তাই বাস্তবিক জ্ঞান ও সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ একাডেমি সিকিউরিটি মার্কেটের সঙ্গে ৫ বছরের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তাদের কাজের অংশ হিসেবে আজ একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল দ শ এক ড ম
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।
প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।
মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।
নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।