মেঘনা ব্যাংকের আয়োজনে ‘ব্রাঞ্চ বিজনেস ডায়ালগ: অ্যালাইনিং স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ভিশন’ অনুষ্ঠিত
Published: 17th, February 2025 GMT
রাজধানীর একটি হোটেলে মেঘনা ব্যাংক পিএলসির আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ব্রাঞ্চ বিজনেস ডায়ালগ: অ্যালাইনিং স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ভিশন’।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেঘনা ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ, পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, উজমা চৌধুরী, মো. মাহমুদুল আলম, তারানা আহমেদ এবং প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহ্সান খলিল।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির শাখা ও উপশাখার ব্যবস্থাপকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং ব্যাংকের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির জন্য কৌশলগত মতামত উপস্থাপন করেন। অংশগ্রহণমূলক এই আলোচনার মাধ্যমে শাখা ব্যবস্থাপক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের মধ্যে মতবিনিময় হয়, যা ব্যাংকের দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়নের দিকনির্দেশনা প্রদান করবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মেঘনা ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকেরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, তাই ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি গ্রাহকসেবাকেও আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব।’
মেঘনা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহ্সান খলিল বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের প্রতিটি শাখা-উপশাখায় ম্যানেজাররা ব্যাংকের উন্নয়নে সর্বোচ্চ শ্রম দিচ্ছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মেঘনা ব্যাংক সফলতার শীর্ষে অবস্থান করবে।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’