রাজধানীর একটি হোটেলে মেঘনা ব্যাংক পিএলসির আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয় ‘ব্রাঞ্চ বিজনেস ডায়ালগ: অ্যালাইনিং স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ভিশন’।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেঘনা ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ, পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, উজমা চৌধুরী, মো. মাহমুদুল আলম, তারানা আহমেদ এবং প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহ্সান খলিল।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির শাখা ও উপশাখার ব্যবস্থাপকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং ব্যাংকের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির জন্য কৌশলগত মতামত উপস্থাপন করেন। অংশগ্রহণমূলক এই আলোচনার মাধ্যমে শাখা ব্যবস্থাপক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের মধ্যে মতবিনিময় হয়, যা ব্যাংকের দীর্ঘ মেয়াদে উন্নয়নের দিকনির্দেশনা প্রদান করবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেঘনা ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকেরা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, তাই ব্যাংকিং কার্যক্রমের পাশাপাশি গ্রাহকসেবাকেও আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেব।’

মেঘনা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আহ্সান খলিল বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকের প্রতিটি শাখা-উপশাখায় ম্যানেজাররা ব্যাংকের উন্নয়নে সর্বোচ্চ শ্রম দিচ্ছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মেঘনা ব্যাংক সফলতার শীর্ষে অবস্থান করবে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

আরিফুলসহ সিলেট বিএনপির নেতাদের লন্ডন সফর, নানা আলোচনা

গত রোববার হঠাৎ লন্ডন সফরে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ নিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। শুধু আরিফুল নন, ইতোমধ্যে সিলেটের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বা গোপনে লন্ডন সফর করেন। শোনা যাচ্ছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেই তারা লন্ডন যাচ্ছেন।

সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে লন্ডন যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যান উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেট-৬ আসনের (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দেশে এসেও নিবার্চনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন।  

সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে সিলেট-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জমান সেলিম। তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন  বলে জানা যায়।

একই আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন। তিনি দেশে ফিরে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। একই আসনে আরও একাধিক নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
 
সর্বশেষ গত রোববার লন্ডনে যান আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি লন্ডনে যাওয়ার পর সিলেট বিএনপির রাজনীতি বইছে নতুন হওয়া। শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দুটি মিশন নিয়ে গেছেন আরিফুল হক। এর একটি হচ্ছে- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া, অপরটি হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। লন্ডনে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের দেখতে এসেছি। ৪-৫ দিন লন্ডনে থাকবো।'

আরিফুল হক সিটি নির্বাচনে নাকি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সার্বিক বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ নিতে তিনি লন্ডনে গেছেন। তার পরামর্শ পাওয়ার পর সিলেটের নির্বাচনী মাঠে নামবেন তিনি। 

এদিকে, সোমবার রাতে লন্ডনে আরিফুল হক তার ঘনিষ্ঠ শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বর্তমানে মাঠে থাকা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না বললেও নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের কথা সরাসরি বলেন। তার বক্তব্য ঘিরে সিলেটে জামায়াত ঘরানার রাজনৈতিক নেতারা স্যোশাল মিডিয়ায় সরব হয়ে উঠেছেন।  কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অন্য পার্টি বলতে সাবেক মেয়র আরিফ কি জামায়াতকে বোঝাতে চেয়েছেন? 

ভার্চ্যুয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়া ভিডিওতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দু-একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কিছু রাজনৈতিক অন্য পার্টি, অন্য প্ল্যাটফরমে যা আপনারা ভালোভাবেই বুঝতেছেন, যারা এখনই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন, বিভিন্ন হাই-অফিসিয়াল পোস্টে তাদের নিজেদের লোক সেটআপ করে ফেলছে। সেখানে আমাদের মানুষগুলো নেই। আমাদের দু-চার জন অ্যাটর্নি জেনারেল, আর দু-চারটা পোস্ট দেখলেই মনে করবেন না সব আমাদের। তারা ভালো করে জানে ভোটে গেলে বিএনপি’র সঙ্গে কোনোভাবেই রিটার্ন করতে পারবে না। কাজেই তারা ওই ম্যাকানিজম শুরু করেছে সেখানে নির্বাচনকে একটু দূরে ঠেলে দিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে তাদের লোকগুলোকে সেটআপ করা।' 

সম্পর্কিত নিবন্ধ